কলরবের পরিচালক বদরুজ্জামানকে ডিবি কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ২৪ ২০১৯, ০১:৫০

জাতীয় শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের পরিচালক বদরুজ্জামানকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার রাত ১০ টার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর ভাইরাল হয়। জামিয়া রাহমানিয়া মোহাম্মদপুর এর মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে এ সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দেন।

উক্ত স্ট্যাটাসের নিচে মন্তব্য করেন কলরবের কিশোর শিল্পী মাহফুজুল আলম তার মন্তব্যে তিনি স্বীকার করেন যে, “বদরুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সত্য।”

পরে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করলে মাহফুজুল আলম  জানান- “এশার সময় বাহির থেকেই ওনাকে নিয়ে গেছে। অফিসে এসে অফিসের পিসি, সিসিটিভির হার্ডিক্সসহ শিল্পী তাওহীদ জামিলকেও নিয়ে গেছে। অফিস আপাতত তালা দিয়ে রেখে গেছে তারা।”

এ বিষয়ে কলরবের সিনিয়র শিল্পী আবু রায়হান ‘র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি একুশে জার্নাল ডটকম’কে  জানান- “আমি এবং সাইদ ভাই একটি প্রোগ্রামে এসেছিলাম। এ প্রোগ্রামে থাকা অবস্থায়ই জানতে পারি যে, বদরুজ্জামান ভাইকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। তারা এসে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়েছে। তাদের গাড়িতেও ডিবি পুলিশ লেখা ছিল। তারা বলে গেছেন যে, আপাতত আমরা অবজার্ভ করব। বদরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অবজার্ভ শেষ হওয়া পর্যন্ত আপনারা আপনাদের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখুন।”

কলরবের সাহিত্য ও আবৃত্তি পরিচালক ইলিয়াস হাসানও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে  জানান- “সত্যিই তাকে নিয়ে গেছে, আমাদের পিসি এবং সিসি ক্যামেরা নিয়ে গেছে। অফিস তালা। খুব ভয়ে আছি সবাই।”

মাহফুজুর রহমান জাবের নামে বদরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ আরেকজন ফেইসবুকে লিখেন,’আমি এবং বদরুজ্জামান ভাই একসাথে ছিলাম। মাহফিল ছিল সাভার-ধামরাই। শহীদ মিনার পার হচ্ছিলাম, এমতাবস্থায় ডিবি ফোন দিয়ে আমাদেরকে তাদের অফিসে ১০ মিনিটের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। প্রথমে আমাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে আমাকে আলাদাভাবে কিছু জিজ্ঞাসা করে ছেড়ে দেয়। এবং বলে দেন “আমরা বদরুজ্জামান’কে রেখে দিচ্ছি আপনি সাভার চলে যান, এবং মনে রাখবেন এ বিষয়টি জেনো কোথাও শেয়ার না হয়।

‘কারন উনি (বদরুজ্জামান) কোনো ক্রাইমের সাথে বা রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না। আমরা জাস্ট সাম্প্রতিক ভোলায় ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তাদের সঙ্গীতের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবো এবং আজ রাতে বা কাল ছেড়ে দিবো। এটা নিয়ে আপনারা অতি উৎসাহী হবেন না”।

আমি বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করি। রাত ১১:৪৫ মিনিটে আমি স্টেজে উঠি এবং ১ টায় স্টেজ থেকে নেমে দেখি অনলাইনে প্রতিবাদের ঘূর্ণিঝড়! আমার কিছুই বলার নাই। আপনারা যেটা ভালো মনে করেন সেটা করেন। আর আল্লাহ যেনো উত্তম ফয়সালা দান করেন। আমীন।’