কর্ণফুলীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় এজাহার

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ২৮ ২০২০, ১১:৪০

কর্ণফুলী প্রতিনিধি: কর্ণফুলীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা হিসাবরক্ষক মো. রফিক উল্যাহ (৪২) কে অফিসে প্রবেশ করে মারধর ও ভাঙচুর করার অপরাধে কর্ণফুলী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

হামলার শিকার হিসাবরক্ষক মো. রফিক উল্যাহ বাদি হয়ে এই এজাহার দায়ের করেন। এসময় উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে ও থানায় স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। ২৭ জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় দায়ের করা এজাহারটিতে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি ও তাঁর স্বামী মামুনুর রশিদ (৪৫) সহ আরও ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই সকাল ১১টায় উপজেলা প্রকৌশল অফিস কক্ষে বানাজা বেগম নিঁশি ও অন্যান্য বিবাদীরা প্রবেশ করে তাঁর নিজ নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ফাইলের তথ্য জানতে চান। প্রতি উত্তরে হিসাবরক্ষক খোঁজ নেওয়া ফাইলটি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মতামতের জন্য উপস্থাপন এবং উপজেলা প্রকৌশলীর স্বাক্ষর হয়নি বলে জানান। এ কথা শোনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবরক্ষককে দেখে নিবেন বলে চলে যান। তার কিছু সময় পর সাড়ে ১২ টার দিকে আবারো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনসহ এলজিইডি অফিস কক্ষে প্রবেশ করে হিসাবরক্ষককে তার সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন।

একপর্যায়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিঁশি অফিস কক্ষের কম্পিউটার নিচে ফেলে দেন। তার স্বামী অফিস কক্ষের ওয়াকিং টেবিল উল্টিয়ে ফেলেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবরক্ষককে ধরে বাম গালে ঘুষি মেরে চোখের চশমা ফেলে দেন। হঠাৎ মারধরের এ দৃশ্য দেখে অফিস সহকারী মােঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ নাসির উদ্দিন বাধা দিতে আসলে বিবাদীরা তাদের প্রতিও ক্ষিপ্ত হন।

এজাহারে আরো উল্লেখ্য করা হয়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নিজ নামের ঠিকাদারীী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিসাম কনস্ট্রাকশনসহ আরাে অনেকের জামানত ফেরৎ ফাইলে মতামত দেওয়ার জন্য নােট দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ম্যাডামের টেবিলে পাঠানো হয়। যা ছিলো গত বছরের কাজ সম্পন্ন হওয়া ফাইল।

এদিকে, এই ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ডকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, উক্ত ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে লিখিত এজাহার দেওয়া হয়েছে। আশা করি আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ বাকি ব্যবস্থা নেবেন।