করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ; অব্যবস্থাপনা ও অযোগ্যতা
একুশে জার্নাল ডটকম
জুন ১০ ২০২০, ১২:৩৭
ডা.রিফাত আল মাজিদ
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে,সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।এখন অব্ধি ২০ জনের অধিক চিকিৎসকই মারা গেছেন করোনা আক্রান্তের সেবা দিতে গিয়ে। শুরুতে পিপিই সংকট দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মূল বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল,যা প্রশসনের লোক জন আমলে নেন নি। এরপর অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যবপক অনিয়ম আর করাপসন দেখা যায়। সুবিধা ভোগীরা এই অসময়েও থেমে থাকেনি।
বাংলাদেশ যখন সময় পেয়েছিল করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার, স্বাস্হ্য ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করার, মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে জনগনকে সচেতন করার, দেশের ব্যবসা ও শিল্প সেক্টরকে এই প্যান্ডেমিক মোকাবিলার জন্য একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়ার, তখন সংশিষ্ট রাজনীতিকরা ও পলিসি মেকাররা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য ফলাও করে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন, বাংলাদেশের আপাত: সাফল্যে আমেরিকা এবং ইওরোপের শিক্ষা নেবার কথা প্রচার করা হয়েছ, আমেরিকাকে এমনকি ভেন্টিলেটর দিয়ে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে। মিডিয়া এবং সোশাল মিডিয়া তখন ব্যস্ত গরম আবহাওয়া তত্বএবং কেন বাংলাদেশে করোনাভাইরাস কোন সমস্যা নয় সেই তত্ব নিয়ে ব্যস্ত। অনেক আপাত: বিশেষজ্ঞ ইওরোপ এবং আমেরিকার ডাটা এবং অভিজ্ঞতাকে আমলে না নেবার ব্যাপারে সরব থেকেছেন। যারা ইওরোপ এবং আমেরিকার অভিজ্ঞতাকে আমলে নিয়ে বাংলাদেশকে প্রস্তুত হবার জন্য এবং জনসচেতনতার কথা বলেছেন তাদেরকে রিডিকিউল করা হয়েছ এবং দেশের বাইরে থেকে দেশের পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয় বলে জ্ঞান দান করা হয়েছে। মিডিয়া এবং সোশাল মিডিয়ার একটি বড় অংশ জনগনকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে বড় বাঁধা হিসাবে কাজ করেছেন। যথারীতি তারা এখন কোন দায়িত্ব নিবেনা। আমরা বাংলাদেশিরা কেন জানি ভুল স্বীকার করতে জানিনা।
একটি গ্লোবাল প্যান্ডেমিক বাংলাদেশকে পশ্চিমাবিশ্ব থেকে কিছুদিন পরে আঘাত করায় আমরা যে সময় পেয়েছিলাম সেটিকে হেলায় হারানোর ফলে বাংলাদেশ এখনো অপ্রস্তুত যার চিত্র এখন পরিস্কার হতে শুরু করেছে। এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। এখনো জনগনকে সচেতন করে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহন করলে জনগনের ভোগান্তি ও প্রানহানি কমানো সম্ভব।