করোনা ভাইরাস মোকাবিলা নয়, প্রয়োজন আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১৯ ২০২০, ২০:২৫

মুফতি সৈয়দ নাছির উদ্দিন আহমদ

(কোভিড১৯) করোনা ভাইরাস তথা প্রাণঘাতী একটি রোগ । রোগটির হকিকত বা বাস্তবতা নিয়ে অনেকেই ভিন্ন মতাদর্শ লালন করছেন।

কারো নিকট এটি মানব তৈরী এমন একটি প্রাণনাশক ভাইরাস যা মানুষের শরীরে রোগ হিশেবে সংক্রমিত হয় বা প্রবেশ করে । যারা বস্তবাদে বিশ্বাসী বা বিজ্ঞান গবেষক তাদের অনেকেই এ বিশ্বাস লালন করেন ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি বা ছোঁয়াচে রোগ । তাদের ধারণা পারস্পরিক সংস্পর্শ বা মিলামিশার ফলে উক্ত রোগটি একজনের থেকে অন্যজনের কাছে যায় বা সংক্রমিত হয় । তবে এটি কিন্তু আবার কাউকে স্পর্শ না করেও কারো কাছে সংক্রমিত হতে পারে । যার বাস্তবতা বিদ্যমান। আর কারো মতে এটি একটি খোদায়ী গজব বা শাস্তি যা রোগ হিশেবে মহান আল্লাহ পাক প্রেরণ করেছেন।

যখন মানুষ খোদার নাফরমানি আর অবাধ্যতায় সীমা অতিক্রম করে ফেলে,তখন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এরকম শাস্তি প্রেরণ করা হয়।

সত্যিকারের মুসলমান ও উলামায়ে হক এ আকিদা বা বিশ্বাস লালন করেন । কারণ রোগ স্বাভাবিক হোক বা গজব হিশেবে হোক এর সৃষ্টিকর্তা কিন্তু একমাত্র মহান আল্লাহ পাক ।

মানুষের শরীরে যে রোগ-ব্যাধি তা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আল্লাহর ইচ্ছায় আরোগ্য লাভ করে ।

কোন বস্তুর বা কারো শক্তি নেই কাউকে রোগ দেয়া বা তা থেকে নিরাময় প্রদান করা । বরং তা একমাত্র মহান আল্লাহর ক্ষমতা। তিনি যাকে ইচ্ছা রোগ দেন এবং এর নিরাময় তিনিই করেন।

আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,আল্লাহ পাক এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যে যার নিরাময়ের উপকরণ তিনি সৃষ্টি করেননি।(বুখারী শরীফ ৫৬৭৮)

হযরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন,আল্লাহ তা’আলাই রোগ ও ঔষধ সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেক রোগের চিকিৎসাও তিনি সৃষ্টি করেছেন। অতএব তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর।(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৮৬৪)

তাছাড়া (কোভিড১৯)বা করোনা ভাইরাস এমন একটি অদৃশ্য রোগ, দীর্ঘ ছয় মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মানব শক্তির সাহায্যে আদৌ এর কোন সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরী করা সম্ভব হয়নি ।বিশ্বের প্রতিটি দেশের নাগরিকরা আজ বিপন্ন,নিরুপায় ও নিস্তব্ধ হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন।

অধিকাংশ দেশগুলোতে আজ করোনা রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে অফিস,আদালত,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শপিং’মল, কল-কারখানা,দোকান-পাট সমুহে লকডাউন।

আদৌ সরকারি-বেসরকারি সকল অর্থনৈতিক অথবা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে লকডাউনে রাখতে হচ্ছে ।

যার ফলে আজ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি মানুষের স্বাভাবিক জীবনের পথ চলা হুমকির মুখে পড়েছে ।

এমনকি সকল প্রকার যাত্রী পরিবহণ তথা সড়ক-পথ, রেল-পথ,নৌ-পথ,আকাশ-পথ ইত্যাদি এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত হারে চালু করলেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক অবনতি সহজে কেটে উটা সম্ভব হচ্ছেনা ।

শুধু তাই নয়, বরং লকডাউনের কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশের সম্ভাবনা দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে ।

এদিকে আবার রোগ সংক্রমণের ভয়ে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না অসুস্থ রোগীরা ।

চিকিৎসকরা করোনার ভয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে দুরে থাকায় স্বাস্থ্যখাতের দুর্বলতা ও অবহেলা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের অবহেলা ও সুচিকিৎসার অভাবে করোনা রোগীর চেয়েও বেশি দিনিদিন হুমকির মুখে পড়তেছে স্বাভাবিক রোগীদের জীবন । অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছেন।

এক কথায় করোনা এমন একটা অদৃশ্য আতঙ্ক যার ফলে সব মানুষই আজ মৃত্যুর ভয়ে কঠিন দিন পার করতেছেন। যেখানে চিকিৎসকগণ করোনার ভয়ে কাতর সেখানে তো সাধারণ মানুষ ভয় একটু বেশি পাবেই।

তবে মৃত্যুর এই ভয় কারো জন্য হেদায়েতের নিদর্শন আর কারো জন্য অন্ধকার ও ভ্রষ্টতার কারণ। ভ্রষ্টতার কারণ এজন্য যে,কেউ কেউ করোনাকে অদৃশ্য শক্তি মনে করেন কিন্তু তা খোদায়ী গজব ভাবছেন না ।বরং তাদের নিকট এটি হল প্রতিপক্ষ বা শত্রুপক্ষের একটি শক্তি । যা স্পষ্ট ভ্রান্ততা ও আল্লাহকে শত্রু মনে করার শামিল ।

তারা তাদের দুঃসাহসকে এতটাই বেশি মনে করেন যে খোদায়ী গজবের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। এমন অনৈতিক ও ভ্রষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিতে শোনা গেছে আমার দেশের সরকারের কিছু আবাল মন্ত্রী-এমপির লাগামহীন মুখে ।

যারা করোনাকে খোদায়ী গজব বা শাস্তি মনে না করে এটাকে শত্রু ও প্রতিপক্ষ ভাবছেন। অবাস্তব ও ভ্রান্ত দাবি তাদেরকে এতটাই মুর্খতার দিকে নিয়ে গেছে যে,তাদের দাবি,আমরা হচ্ছি বীরের জাতি।করোনার সাথে মোকাবেলা করে পরাজিত নয়,বিজয় লাভ করব। অথচ উনারা একটুও চিন্তা করলেন না যে, একজন মুসলিম হিশেবে আমরা কীভাবে খোদায়ী এই গজবের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার দুঃসাহস দেখাতে পারি।

উনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, খোদায়ী গজব বা অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলা করার কিঞ্চিত পরিমাণশক্তি বা ক্ষমতা ইতিপূর্বে কারো হয়নি কখনো যে হবেনা ।

বরং যারাই মহান আল্লাহর অবাধ্য হয়ে তারি অসীম শক্তির মোকাবিলা করতে চেয়েছিল তারাই পরিশেষে সমূলে ধ্বংস হয়েছিল । এর নজির বা দৃষ্টান্ত কুরআন হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে ।

বিশেষ করে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর ব্যক্তি ফিরআউন যে নিজেকে খোদা বলে দাবি করত।

সে যখন অবাধ্যতার সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন খোদায়ী গজবে তাকে নীল নদের পানিতে ছুবিয়ে মারা হয়।

তার অপদস্থ লাশ আদৌ ইতিহাস হয়ে আছে কিয়ামত পর্যন্ত জাতির জন্য নিদর্শন হিশেবে থাকবে । আল্লাহ পাক যখনই কোন জাতিকে গজব দিয়ে ধ্বংস করেছেন তখন এর একটি দৃষ্টান্ত পরবর্তী জাতির জন্য উপদেশ মূলক রেখে দিয়েছেন ।যেন পরবর্তী উম্মত এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে । যাতে আল্লাহ্‌র অবাধ্য হওয়ার দুঃসাহস না করে।

কেউ দুুঃসাহস দেখালে তারও অবস্থা যে ওদের মতো হবে এর ইঙ্গিত মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তাতে দিয়ে রেখেছেন। কুরআনে যেসকল অবাধ্য ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের ধ্বংস হওয়ার ঘটনা উল্লেখ রয়েছে, তরমধ্যে অন্যতম হলো নমরূদ, ফিরআউন,হামান,শাদ্দাদ,কারুন,কওমে লুত, কওমে ছামুদ,কওমে আ’দ,কওমে সালেহ,আবু জাহেল আবু লাহাব,আব্রাহার বাদশাহ যাকে আসহাবে ফিল বলা হয় ওদের অপদস্থের দৃষ্টান্ত উল্লেখযোগ্য। ওদের অহংকার আর বাহুবল সবকিছুকে তিনি সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন ।

এরপরেও আমাদের দেশের বিবেকহীন শিক্ষিত নেতা নেত্রীর থেকে এরকম মন্তব্য প্রমাণ করে যে,করোনা নামক মহা বিপদের ফলে মৃত্যুর ভয় হেদায়েতের পথ দেখাতে নয়,বরং তাদের ভ্রষ্টতা বৃদ্ধির জন্য । নতুবা এমন মূর্খতাপূর্ণ নাফরমানি বক্তব্য উনারা দিতেননা ।

বর্তমান করোনাভাইরাস রোগ এটি কী সত্যিই কারো প্রতিপক্ষ বা শত্রু? যার মোকাবিলা করা যায় । নাকি খোদা প্রদত্ত একটি গজব । যা আমাদের কৃতকর্মের ফল ।

প্রথমে বলে রাখি করোনা এটি কারো প্রতিপক্ষ বা শত্রু নয় বরং এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে কারো জন্য রহমত কারো জন্য গজব বা শাস্তি হিশেবে প্রেরণ করা একটি প্রাণঘাতী রোগ। তাই এটিকে প্রতিপক্ষ অদৃশ্য শক্তি ভেবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বোকামি আর ভ্রষ্টতা ছাড়া কিছুই নয় । তাই সকলের জন্য উচিত করোনা ভাইরাস মোকাবিলা না করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা ।

মানুষের জীবন এবং মৃত্যু এদুটো মহান আল্লাহর সৃষ্টি। এ দুটো সৃষ্টির পিছনে সৃষ্টিকর্তার প্রধান উদ্দেশ্য হলো বান্দা উত্তম আমল করছে কি না তা নির্বাচন করা ।

কুরআনে এরশাদ হয়েছে, যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন তোমাদেরকে পরীক্ষার নিমিত্তে। কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক হতে উত্তম? আল্লাহর প্রতি অধিক আনুগত্যশীল। অর্থাৎ এ পার্থিব জগতে কারা কর্মে সৎ ও সুন্দর হয় এবং কারা কর্মে দুষ্ট ও অসুন্দর প্রমাণিত হয় তা পরীক্ষা করা ।(সুরা মুলক : ২)

আরো বর্ণিত আছে যে,তিনি মহান পরাক্রমশালী( তার সাথে অবাধ্যচরণকারী হতে প্রতিশোধ গ্রহণে  তিনি অতি ক্ষমাশীল (তার প্রতি প্রত্যাবর্তনকারীদের জন্য ) ( সুরা মুলক : ২)

জীবন-মৃত্যুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শুভ প্রতিফল আর অকৃতকার্য হলে খারাপ প্রতিফল ভোগ করবে এটাই পরীক্ষার দাবি। নতুবা পরীক্ষা নেওয়াই অর্থহীন হয়ে পড়বে । তাই তো মহান আল্লাহ পাক মানুষকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা নিবেন এ ব্যাপারে পবিত্র কুুরআনে সস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।যার বিনিময় বা প্রতিফল হিশেবে জান্নাত এবং জাহান্নামকে তৈরি করে রেখেছেন ।

পার্থিব জীবনের কর্মের উপর ভিত্তি করেই পরকালে মহান আল্লাহ তার বান্দার ব্যাপারে ফয়সালা করবেন। বান্দার দুনিয়ার জীবনের আমল বলে দিবে জান্নাত বা জাহান্নামের উপযোগী কারা। পরকালে জান্নাত আর জাহান্নাম ব্যতীত তৃতীয় কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

♢ যারা বলে আমাদের প্রতিপালক তো মহান আল্লাহ। অতপর অবিচল থাকে ( আনুগত্যের উপর ) তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবেনা । তারাই হবে জান্নাতের অধিবাসী সেখানে তারা চিরকাল থাকবে ।(সুরা আহকাফ১৩)

♢ যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের অভিভাবক । তিনি তাদেরকে অন্ধকার তথা কুফরি হতে বের করে আলো অর্থাৎ ঈমানের দিকে নিয়ে যান । আর যারা সত্যকে প্রত্যাখান করে তাগুত তাদের অভিভাবক ।

তাগুত তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায় । তারাই অগ্নি তথা জাহান্নামের অধিবাসী সেখানে তারা স্থায়ী হবে । ( সুরা বাকারা : ২৫৭ )

আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘নিশ্চয়ই যেসব লোক আমার সাক্ষাৎ লাভের আশা রাখেনা’এবং পার্থিব জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট ও তা নিয়েই পরিতৃপ্ত থাকে আর যারা আমার নিদর্শন সমূহ সম্পর্কে গাফিল,এমন লোকদের আবাস হল অগ্নি- তাদের কৃতকর্মের বদলা হিসাবে। (সূরা ইউনুছ,৭-৮)

আল্লাহ পাক এরশাদ করেন,আমি তোমাদেরকে শত্রুর ভয়,ক্ষুধা,দুর্ভিক্ষ,সম্পদ ধ্বংস করে, মৃত্যু বা জীবননাশ করে এবং বিভিন্ন বিপদাপদ এর মাধ্যমে,ফল ফসলের স্বল্পতা দ্বারা অবশ্য পরীক্ষা করব।দেখবো তোমরা ধৈর্যধারণ কর কি না । আর যারা বিপদে ধৈর্য ধরে তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ ।( সুরা বাকারা : ১৫৫)

এই আয়াতে আল্লাহ পাক মুমিন মুসলমান বান্দাদের পরীক্ষা করবেন বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন,এইটা কিন্তু তাদের শাস্তি কিংবা আজাব রূপে নয়, বরং এটা হবে মুমিনদের ধৈর্য যাচাইয়ের জন্য । কারণ ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া অত সহজ নয় । ধৈর্য ও মুমিনের ঈমানের পরীক্ষামূলক এরকম একটি

বিপদ মহান আল্লাহ আমাদের জন্য দিয়েছেন যার নাম কোভিড১৯ করোনা ভাইরাস যা প্রাণঘাতী রোগ বলে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা ।

এটিও কিন্তু কাফির বিধর্মী যাদের কপালে হেদায়েতের আলো নেই তাদের জন্য শাস্তি স্বরূপ। যদিও তারা এটা কে প্রতিপক্ষ ভেবে খোদার শক্তির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে চেষ্টা করে । তবে করোনা আবার তাদের কারো জন্য হেদায়েতের নিদর্শনও হতে পারে বা হচ্ছে।তাওবা করে অনেকেই ফিরছেন সঠিক পথ ইসলামের দিকে ।

তাই এ বিপদে মুমিন মুসলমানদের জন্য করণীয় হলো নিজের অহংকার আর ক্ষমতার বাহাদুরি ও আল্লাহর অবাধ্য মুলক আচরণ না দেখিয়ে বরং ধৈর্য ধারণ করা। এবং বিপদ মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া । তা হবে সত্যিকারের বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণতার পরিচয় ।

এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা আল্লাহ পাক নিজেই দিচ্ছেন, হে মুমিন বিশ্বাসীগণ! আনুগত্য প্রদর্শন ও বিপদাপদে ধৈর্য ধারণ ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তার সাহায্য সহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন । ( সুরা বাকারা ১৫৩)

পরিশেষে বলতে চাই ; আমরা করোনাকে প্রতিপক্ষ বা শত্রু না ভেবে এটাকে নিজেদের গুনাহের প্রতিফল মনে করি । এ থেকে পরিত্রাণ পেতে মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করে সাহায্য প্রার্থনা করি ।

নিজেদের অবৈধ অহংকার,বাহাদুরি আর ক্ষমতার দাপট যেন খোদার শক্তির বিরুদ্ধে না দেখাই।এসব পরিহার করে আল্লাহর একনিষ্ঠ উপাসনায় মগ্ন হই ।

আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে বিপদাপদ ও করোনা ভাইরাস নামক রোগ ইত্যাদি থেকে হেফাজত করুন । আমীন