করোনা; ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা মাধবপুরের সবজি চাষীদের
একুশে জার্নাল ডটকম
এপ্রিল ১১ ২০২০, ১৫:২২

পৃথিবী সব দেশ এখন করোনার প্রভাবে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তেমই বাংলাদেশও এর প্রভাব পড়েছে, হবিগঞ্জের মাধবপুরে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সবজি চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা৷
শনিবার ১১ এপ্রিল মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকায় ঘুরে দেখা যায় উপজেলা জুড়ে সবজি চাষিরা নানা রকম সবজি চাষ করেছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছে ব্যাপক ক্ষতিতে পরতে হবে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মাধবপুর উপজেলা ইউনিয়নগুলো সহ পৌর শহর এখন অঘোষিত লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে মানুষ জন ঘর থেকে বের হবে না। কৃষকরা জানান, সবজি হচ্ছে পচনশীল পণ্য ক্ষেতে বিভিন্ন রকম সবজি পচন শুরু করেছে যেমন, টমেটো, শশা, বেগুন, লাউ, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি আরও জানান তারা এখন অর্থনীতি ক্ষতিতে পরতে হবে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাধবপুরের হাট-বাজারগুলোতে আগের মতো সবজি কেনাবেচা নেই। নেই দুর-দুরান্ত থেকে আসা পাইকাররাও। নিজেরাই নিজেদের উৎপাদিত সবজির পশরা সাজিয়ে বসছেন অনেক কৃষক। তবে ক্রেতার অভাবে কম দামে সবজি বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
উপজেলার ঘিলাতলী গ্রামের এক সবজি চাষী আবুল বাসার জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাব পরেছে এখন সবজিতে দেশ এখন অঘোষিত লক ডাউন থাকাতে চাহিদা কমে গেছে। শসা,টমেটো,বরবটি বিক্রি করতে পারছি না ক্ষেতে শসা পরে আছে বাজারে বিক্রির জন্য নিতে পারছি না। তিনি আরও জানান, আমি ১০ বিঘা জমিতে শসা, ৫ বিঘা জমিতে টমেটো, ৩ বিঘা জমিতে বরবটি চাষ করেছি এই সবজি এখন ২ থেকে ৫ টাকা কেজি করতেও পারছি না, ক্ষেতে পরে সবজি পচতেছে ।
তিনি আরও বলেন, এমন অবস্তা চলতে থাকলে আমি পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে। করোনার কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ। ট্রাক চালকরা করোনা ঝুঁকি নিয়ে কোথাও ভাড়ায় যেতে চায় না। এ কারণে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এখানকার উৎপাদিত সবজি পাঠানো যাচ্ছে না। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর-দুরান্ত থেকে পাইকাররাও আসছে না সবজি সমৃদ্ধ এই এলাকায়। যদিও কৃষি বিভাগ থেকে একটু সময় নিয়ে ক্ষেতের ফসল উত্তোলনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা উপ-কৃষি কর্মকর্তা তাপস চন্দ্র দেব জানান, করোনার কারণে কৃষি পণ্যবাহী পরিবহন সংকটসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা আসতে না পারায় সবজি চাষিরা ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন বলে।
তিনি বলেন, ‘এখনো ভরা মৌসুম আসেনি। সবেমাত্র গ্রীষ্মকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। ভরা মৌসুম আসার আগে যদি দুর্যোগটি কেটে যায়, তাহলে সবজি চাষিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’