করোনায় মারা গেলে দাফন খিলগাঁও-তালতলা গোরস্তানে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১৯ ২০২০, ১৯:২১

প্রাণসংহারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদেরকে রাজধানীর খিলগাঁও-তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএনসিসির নগর ভবনে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও, ডিএনসিসির কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে জনসমাগম যাতে না হয়, এ জন্য সেগুলো আপাতত উৎসব, অনুষ্ঠান ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।

সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় একটি কমিটি গঠন করেছে ডিএনসিসি।

এ কমিটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনসহ আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং করোনা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাতীয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করবে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামকে সভাপতি এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মমিনুর রহমান মামুনকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা, জনসংযোগ কর্মকর্তা, ডিএনসিসি এলাকার সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, ঢাকা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, ঢাকা সিভিল সার্জন, ডিএনসিসি এলাকার সকল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক, পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালক, ঢাকা বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর প্রতিনিধি।

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হক এ কমিটির ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহা. আমিরুল ইসলাম, সচিব মোজাম্মেল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহমেদ, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান, মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, উত্তরা এর পরিচালক ডা. মোঃ মুসফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।