কঠিন দারিদ্রতা মাধ্যে প্রাইভেট-কোচিং ছাড়াই মেডিকেলে চান্স পেল সুপ্রিয়া অধিকারী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ২৩ ২০১৯, ০৭:১২

 

সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল দরিদ্রপল্লীর কৃষককন্যা সুপ্রিয়া অধিকারী। মেধাই ছিল তার একমাত্র সম্বল। সংসারে কঠিন দারিদ্রতা। তা বাধা হতে পারে নি।

সুপ্রিয়া অধিকারী বাস করে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নিভৃত পল্লী রায়গ্রামে।

বাবা অনিমেষ অধিকারী দরিদ্র কৃষক। মা উন্নতি অধিকারী গৃহিনী। বড় ভাই বরিশাল প্যারামেডিকেলে পড়ে। ছোট ভাই ক্লাস সিক্সে। তার কোনদিন প্রাইভেট বা কোচিং করা হয়নি। তাই এবার ঘোর দরিদ্র পরিবারের কৃষক কণ্যা সুপ্রিয়া অধিকারী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ফোনে এমনটাই জানালেন কালিদাস বড়াল স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায়। তিনি অসম্ভব গর্বিত তার শিক্ষার্থীকে নিয়ে। গৌরবে তার চোখে জল আসছিল বার বার।

তিনি জানান, সুপ্রিয়া ২০১৮ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। সে চিতলমারী কালিদাস বড়াল স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০১৭ ও ১৮ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ ছাত্রী নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করে। এসএসসি’তেও সুপ্রিয়া গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছিল।

সুপ্রিয়ার বাবা অনিমেষ অধিকারী জানান, অভাবের সংসারে সন্তানরা তার আশার আলো। দারিদ্রের কারণে তিনি ছেলে-মেয়েকে প্রাইভেট ও কোচিংএ দিতে পারেননি। তারপরও তিনি মেয়ের এ সাফল্যের জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন।