কওমী মাদরাসাগুলোকে রাজনৈতিক ঢাল বানানো উচিত নয়
একুশে জার্নাল
নভেম্বর ০১ ২০১৮, ০৮:১২
কওমী মাদ্রাসা হচ্ছে ইসলামের দূর্গ। অনেক ত্যাগ, সাধনা ও রক্তের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে এই কওমী মাদরাসা। কওমী মাদরাসা গড়ার পেছনে রয়েছে আকাবিরদের অফুরন্ত ত্যাগ ও মেহনত। যার ফলে ভারত উপমহাদেশে হাজার হাজার কওমী মাদরাসা গড়ে উঠেছে। যা আজ উপমহাদেশ পেরিয়ে বিশ্বব্যাপি গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। ইউরোপ -আমেরিকার মত দেশগুলোতে এখন কওমী মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তাই কওমী মাদরাসাগুলো হেফাজত করা ও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মুক্ত রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
গতকাল ৩১ই অক্টোবর (বুধবার) নওগাঁ ও বগুড়া জেলার ওলামায়ে কেরামের সাথে মতবিনিময়কালে মেখল হামিয়ুচ্ছুন্নাহ মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে, অনেক রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্নভাবে কওমী মাদরাসাগুলোকে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের মাধ্যম বানাচ্ছে। বিশেষ করে মফস্বল এলাকার মাদরাাসাগুলোর পরিচালনা পরিষদ রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ার কারণে বিভিন্ন মিছিল, মিটিং এ মাদরাসাকে ব্যবহার করছে। এমনকি অনেক আলেমগণও এমন কাজে লিপ্ত হচ্ছে। যা দারুল উলূম দেওবন্দের মৌলিক নীতিমালা পরিপন্থি।
মাওলানা জাকারিয়া নোমান আরে বলেন, আমাদের অনেক আকাবির রাজনীতি করেছেন। কিন্তু মাদরাসাগুলোকে রাজনৈতিক মারকাজ বানিয়েছেন এমন কোন নজির নেই। মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ. রাজনীতির সিংহ পুরুষ ছিলেন, কিন্তু মাদরাসাকে ব্যবহার করেছেন এমন নজির নেই। হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ছাত্র রাজনীতি হারাম মনে করতেন। তার বিখ্যাত উক্তি “ছাত্রদের বড় রাজনীতি হচ্ছে পড়া লেখা” তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
তাই আমরা দরুল উলূম দেওবন্দের অনুসারী হিসেবে আমাদেরও উচিত সেই বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা।
আজ ছাত্রদের মেধা ইনতেসার হয়ে গেছে। ভালো আলেম তৈরী হচ্ছে না। অনেক মাদরাসায় ভালো উস্তাদের অভাবে কঠিন কিতাব পড়ানো হচ্ছে না। পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক! তাই আমাদের উচিত ছাত্রদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কওমী মাদরাসাগুলোকে রাজনৈতির ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করা।