কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি খোলা চিঠি

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ১৪ ২০২০, ১৫:০৮

আমার প্রাণপ্রিয় কওমি মাদরাসার ছাত্র ভাইদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ! বর্তমানে করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে হঠাৎ মাদ্রাসা বন্ধ হওয়ায় সম্মানিত উস্তাদগণ বেতন/সম্মানী ছাড়া খালি হাতে বাড়িতে যেতে হয়েছে। অথচ সম্মানিত এ উস্তাদগণের মধ্যে অনেকেই আছেন তারা মাদরাসায় এ খেদমতের কারণে যে বেতন (সম্মানী) পান তার দ্বারাই তাদের সংসার চালাতে হয়, ছেলে-মেয়েকে পড়াশুনার খরচ, পরিবারে কারোর বৃদ্ধ মা-বাবার ঔষধসহ অন্যান্য খরচ চালাতে হয়।

অনেক শিক্ষক আছেন যাদের মাদ্রাসার বেতন ছাড়া অন্য কোন আয়ের উৎস নেই, তারা খুবই কষ্টের মধ্যে দিন-যাপন করছেন। তাই আমাদের উচিৎ উস্তাদগণের খোঁজ খবর নেয়া। আমাদের মধ্যে অনেক ছাত্র ভাইদের সামর্থ আছে নিজ উস্তাদদের হাদিয়া স্বরুপ ৫০০/১০০০টাকা দেওয়ার, কিন্ত তা কি আমরা করছি? অথচ তাঁরা (উস্তাদগণ) লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছেন না, তাই আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ উস্তাদদের খোঁজ খবর নেই।

অথবা দুই চার জন মিলে ১০০/২০০ করে একত্রে ১০০০/২০০০ যা পারি, জমা করে উস্তাদগণের কাছে ফোন করে বিকাশে পাঠাতে পারি। বিশ জন ছাত্র মিলে একজন শিক্ষকের খরচ চালানো অথবা জামাতের ছাত্ররা মিলে এক সাথে কাজ করতে পারি।

আমাদের অনেক ছাত্র ভাইয়েরা প্রবাসে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি, আপনারা নিজ নিজ উস্তাদদের একটু খোঁজ খবর নিন, পারলে কিছু হাদিয়া পাঠিয়ে দিন।

অনেক ভাই মনে করছি, অল্প টাকা কিভাবে দেই! না ভাই, লজ্জা নয়, এখন এই (বিপদের) মহামারির সময় অল্প কিছু টাকাই অনেক। মনে রাখবেন, এক এক জনের অল্প টাকাই এক সাথে হলে অনেক টাকা। তা না হলেও কিছুটা তো উপকারে আসবে উস্তাদদের?

আমরা যারা উস্তদদের খোঁজ খবর নিচ্ছি তারা যদি উদ্যোগ নেই তাহলে হয়তো অনেক উস্তাদদের বুকভরা কষ্ট একটু হলেও লাঘব হবে। (ইনশাআল্লাহ)

আল্লাহ আমাদের উস্তাদদের নেক নজরে আসার তৌফিক দান করুক। আমিন।


ইতি


মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, হেড ইনচার্জ, গঙ্গাধরদী দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা, ভাঙ্গা, ফরিদপুর।