ওসমানীনগরে ৩ মাস ধরে বেতন নেই ১০৯ শিক্ষকের: করছেন মানবেতর জীবনযাপন
একুশে জার্নাল
এপ্রিল ১২ ২০২০, ২২:৪৭

ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ওসমানীনগর উপজেলার ১০৯ জন শিক্ষক ও কেয়ার টেকার তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না! পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন তারা। দ্রুত বেতনভাতাদি দেয়ার দাবী জানান শিক্ষকগণ। এমন পরিস্থিতি দেশের সকল উপজেলারও।
জানা যায়, শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন চলে আসছে ইফা’র প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকল্পের মেয়াদ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়। প্রকল্পটি আবার পাশ হলে বেতনভাতাদি দেয়া হবে শিক্ষকদের এমন আশ্বাস দেয়া হলে শিক্ষকগণ তাদের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারের সকল নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু তিন মাসেও প্রকল্পটি পাশ না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদেরকে ফাউন্ডেশনের যে কোন আর্থিক খাত থেকে সহযোগিতা করা সময়ের দাবি। পাশাপাশি তাদেরকে ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতারও দাবী জানানো হয়।
জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ওসমানীনগর উপজেলাধীন সহজ কুরআন শিক্ষার শিক্ষক ৬৫ জন, প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষক ৩৭ জন, বয়স্ক শিক্ষার ১ জন, দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক ৪ জন রয়েছেন। এছাড়া মডেল কেয়ার টেকার ১ জন ও সাধারণ কেয়ার টেকার রয়েছেন ২ জন। ১০৯ জন শিক্ষক ও কেয়ার টেকাররা তাদের তিন মাসের বেতনভাতাদি পাননি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ওসমানীনগর উপজেলার মডেল কেয়ার টেকার কাজী খলিলুর রহমান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আক্ষেপ করে লিখেন, ‘বলতে ও পারছিনা, সইতে ও পারছিনা। পায়ের নিচে মাটি নেই ( প্রকল্প পাশ হলো না)। কবে নাগাদ পাশ হবে তাও কেউ বলতে পারে না। মডেল কেয়ার টেকার, সাধারণ কেয়ার টেকার ও শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দের বেতন নাই, নাই কোন সরকারী বা বেসরকারী সাহায্য, আজ তৃতীয় মাস শেষ হয়ে চতুর্থ মাস চলছে। বেতনের কথা বলা মানে বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। এভাবে এই বিপদে আর কত পরিবার পরিজনকে নিয়ে কিভাবে চলতে পারি কেউ কি বলতে পারেন? অভাব যখন দুয়ারে দাঁড়ায়, বিবেক তখন ঠিক থাকে না। আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। আর তো চলতে পারছি না!’
এব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, আসলে বিষয়টি দু:খজনক। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। প্রকল্পটি আবার একনেকের বৈঠকে পাশ হলেই তারা বকেয়াসহ পাবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যভাবে তাদের কিছু সহযোগিতা করা যায় কি না চেষ্টা করছি।