ওসমানীনগরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাসা লকডাউন; স্ত্রী সন্তানের নমুনা সংগ্রহ
একুশে জার্নাল ডটকম
মে ১৬ ২০২০, ২৩:১৯

ওসমানীনগরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাসা লকডাউন, স্ত্রী সন্তানের নমুনা সংগ্রহ সিলেটের ওসমানীনগরে এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের এক লাইন টেকনিশিয়ান রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ আসে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ই-মেইলের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে রিপোর্ট জানানো হয়। এ
নিয়ে উপজেলায় ৩জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ এর ওসমানীনগরের খাশিকাপন জোনাল অফিসে লাইন টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত আছেন। তিনি হবীগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে তাজপুরবাজারে হাজী মশ্রব আলী কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকেন।
আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সনাক্ত হওয়া করোনা রোগী বাসা মশ্রব আলী কমপ্লেক্স লকডাউন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলা করোনা সংক্রান্ত মেডিকেল টিমের প্রধান ডা.সাকিব আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওসমানীনগরে এবার পল্লী বিদ্যুতের একজন লাইন টেকনিশিয়ানের করোনা সনাক্ত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলতি ৬ই মে শরীরে জ্বর থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি নমুনা দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমরা ই-মেইলের মাধ্যমে করোনা সনাক্তের বিষয়টি অবহিত হই। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ফোনে কথা হয়েছে তাকে বাসা থেকে বের না হতে বলা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করেছি।
উল্লেখ্য, ওসমানীনগরে গত ৩০ এপ্রিল প্রথম উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকদাড়া (নোয়াগাঁও) গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির করোনা সনাক্ত হয়। গত ২৬ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে ওই ব্যক্তি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা সন্দেহজনক মনে করে এই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেন। এরই মধ্যে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। তারপর ওসমানীনগরের ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ জানিয়ে রিপোর্ট আসে। এর পর গত ৫ই মে ওসমানীনগরে ২য় করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়।
আক্রান্ত ঢাকা ফেরত ২৪ বছর বয়সী তরুণ গোয়ালাবাজার ইউপির পূর্ব ব্রাহ্মণ গ্রামে বাসিন্দা। তিনি কয়েক দিন আগে বালাগঞ্জে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কিছুটা অসুস্থতাবোধ করলে করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করতে দেন। নমুনা প্রদানের ১৪ দিন পর তার রিপোর্ট আসলে করোন ভাইরাস ধরা পরে।