ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন ওহি নাজিল করেন: মির্জা ফখরুল
একুশে জার্নাল ডটকম
এপ্রিল ০১ ২০২২, ২০:৪০
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন ওহি নাজিল করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিদিন একটা ওহি নাযিল করতে থাকেন। গতকালকে তিনি একটা ওহি নাযিল করেছেন। সেই ওহি হচ্ছে, বিএনপি নানাভাবে বিভক্ত, বিএনপির নেতা কে? তাদের আন্দোলনের নেতা কে? আমরা জানতে চাই।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাদেরতো এই মূহুর্তে পদত্যাগ করা উচিত। এতদিনেও তিনি যদি না জানতে পারেন যে বিএনপির নেতা কে, আন্দোলনের নেতা কে তাদেরতো এই সরকারি দলে থাকার অধিকার নাই বলে আমি মনে করি। দিবালোকের মত স্পষ্ট বিএনপির নেতা এখন যিনি জীবিত আছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তার অসুস্থতা ও অবর্তমানে আমাদের নেতা তারেক রহমান। বিএনপি কোনোভাবে দ্বিধা বিভক্ত নয়।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রকৃত ইতিহাস, যারা জোর করে ক্ষমতায় আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা ভ্রান্ত ও ভুল বিষয় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরছে। বাংলাদেশের মানুষ ব্রিটিশ আমল থেকে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে। ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা যিনি করেছিলেন-শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম, সকলের নাম একেবারে মুছে দিচ্ছে। তারা একবারও উচ্চারণ করে না শেরে বাংলা ফজলুল হকের কথা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কথা, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কথা। এমনকি তাদের দলের যারা ৯ মাস একটা সরকার পরিচালনা করলো, তাদের নাম উচ্চারণ করে না। উচ্চারণ করে না তাজউদ্দিন আহমেদের কথা, এমএজি ওসমানীর কথা, সেক্টর কমান্ডার যারা যুদ্ধ করলেন, তাদের কথা।
তিনি বলেন, এমন একটা সময় আমরা অতিক্রম করছি, যে সময়টা আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। আমাদের ভাষা আন্দোলন, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ- সকল অর্জনকে ভুলিয়ে দিয়ে এককভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালিয়ে দিচ্ছে। আমাদের যত সৃজনশীলতা সবকিছুকে এরা ধ্বংস করে দিচ্ছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যে জাতি তার প্রকৃত ইতিহাস জানে না, সে জাতি টেকসই উন্নয়ন করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক কে, এ বিষয়ে বর্তমান সরকার এ প্রজন্মের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা যিনি দিলেন তাকে যদি অসম্মান করা হয় তাহলে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দল হাই শিকদার।