ঐক্যফ্রন্টের সাথে বৈঠক খবরের ওজাহাত করেছে ইসলামি আন্দোলন
একুশে জার্নাল
জানুয়ারি ০২ ২০১৯, ০৫:৩৮
ইসলামি আন্দোলন ঐক্যফ্রন্টের সাথেও বসতে রাজি এই বক্তব্যের ওজাহাত করেছে।এই বিষয়ে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ তার ফেইসবুক পোষ্টে লিখেন:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মতো একটা জোট যারা কিনা রাজনীতির খেলায় পরাজিত এবং যে জোটের নেতৃত্বে রয়েছে ইসলামী আইনের বিরুদ্ধে স্বঘোষিত ব্যক্তিত্ব সেই জোটের সাথে বসার কিছু নাই।
“বসা-বসি”র রাজনীতি ইসলামী আন্দোলন করে না। “বসা-বসি”র রাজনীতি করলে বহু আগেই চেয়ার-প্রাডো পাওয়া যাইতো।
মুহতারাম আমীর একটা চিরন্তন কথা কথা নতুন করে ব্যক্ত করেছেন। শায়খ রঃ বলতেন, বিএনপি-আঃলীগও যদি ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করে তাহলে আমি তাদের আনুগত্য করবো। বর্তমান আমীরও বহুবার বলেছেন যে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার দাবীর সাথে যারা ঐকমত্য পোষন করে তাদের সাথে আমাদের ঐক্য হতে পারে।
সকলের সাথে ঐক্য করার, সকলের সাথে বসার, সকলের সাথে আলোচনা করার উন্মুক্ত মানসিকতা ইসলামের চিরন্তন স্বভাব।
সেই স্বভাবের কারণেই মুহতারাম আমীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “হ্যা! দাবীর মিল থাকলে ঐক্যফ্রন্টের সাথেও বসা যেতে পারে”।
এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে “ঐক্যফ্রন্টের সাথে বসতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ” এই শিরোনামে সংবাদ করা আক্ষরিক অর্থেই “হলুদ সাংবাদিকতা”।
হলুদ সাংবাদিকরা হলুদ সাংবাদিকতা করবে সেটা আশ্চর্য নয়। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের শুভাকাঙ্ক্ষীরাও যে সেই সংবাদ প্রচার করছেন সেটাই আশ্চর্য।
এই সংবাদ যারা প্রচার করছেন তাদেরকে শুভাকাঙ্ক্ষী বলাও ঠিক নয়। কারণ এতো দিনেও যারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে চিনেন নাই তারা শুভাকাঙ্ক্ষী হন কি করে?
এখানে একটা প্রাসঙ্গিক কথা বলে রাখি,
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একনিষ্ঠভাবে কুরআন-সুন্নাহর অনুসরন করে তার বহুদিনের অভিজ্ঞতালব্ধ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ব্যবহার করে তার রাজনৈতিক পথ নির্ণয় করে।
সেই পথ কখনো একেবারেই অনন্য হয়। কখনো সেই পথ কোন কোন রাজনৈতিক দলের সাথে মিলে যায়। তবে সর্বদাই সেই পথ একান্ত ইসলামী আন্দোলনের নিজস্ব পথ। সেই পথ একান্তই ইসলামের স্বার্থ রক্ষার্থে গৃহিত পথ।
জোট-মহাজোটের বাহিরে দেশে তৃতীয় রাজনৈতিক ধারা তৈরীর নীতি কখনো হয়তো আঃলীগকে কৌশলগত সুবিদা দিয়েছে।
আবার জনগনের ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমাদের দাবী ঐক্যফ্রন্টের দাবীর সাথে মিলে গিয়েছে এবং সর্বশেষ নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থানও ঐক্যফ্রন্টের সাথে মিলে গেছে।
কিন্তু আবারো বলি, এই মিলে যাওয়া সম্পর্নুই কাকতালীয়। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তারা তাদের অবস্থান থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমরা একক প্রার্থী যেমন আঃলীগের সাথে কোনরুপ সমঝোতা ছাড়াই দিয়েছি ঠিক তেমনি নির্বাচন পুর্ববর্তী ও পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থানও ঐক্যফ্রন্টের সাথে মিলে গেছে কোনরুপ আলোচনা ছাড়াই।
প্রিয় বন্ধু! আমরা আমাদের অবস্থান পরিস্কার করলাম। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার। শুধু এতটুকু বলি যে, আমরা আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আশা রাখি।