এবার কওমী মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ০৫ ২০২০, ১৮:৫৭

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইয়াসমিন আক্তার (১৪) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকালে নিহত ওই মাদরাসা ছাত্রীকে তার তিন বান্ধবী ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর শনিবার সকালে রাস্তায় মূমুর্ষ অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা যায়, উপজেলার মেরাসানী গ্রামের নূর হোসেন স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তান রেখে আট বছর আগে মারা যান। মৃত্যুর পর থেকে তার স্ত্রী আয়েশা বেগম শিশুমেয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় জীবনযাপন করতেন। এর মধ্যে মেয়ে ইয়াসমিন মাধবপুর উপজেলার মনতলা ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে ওঠে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মনতলা রেলস্টেশন এলাকার ইয়াসমিনের তিন বান্ধবী এসে তাকে তাদের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়।

শনিবার সকাল ৭টার দিকে ইয়াসমিনের মা খবর পান ইয়াসমিন রাস্তায় পড়ে আছে। তিনি সেখানে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তায় মেয়েকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক ইয়াসমিনকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্মরত চিকিৎসক ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে ইয়াসমিনের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে মায়ের কাছে ইয়াসমিনের লাশ হস্তান্তর করে।

মেয়ের লাশ পাওয়ার পর থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা আয়েশা বেগম। হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের সামনে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ও মা, তুমি আমারে কই থুইয়া গেলা? ও মাই, তুমি কই গেলা? আমি কই যাইতাম? আমি কী করতাম, কিতা না? ও মাই, আমি কিতা করতাম?

আয়েশা বেগম জানান, বান্ধবীদের বাড়িতে পরিকল্পিত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ইয়াসমিন। ধর্ষণের পর বান্ধবীদের সহযোগীরা ইয়াসমিনকে রাস্তায় ফেলে রেখে দুর্ঘটনার নাটক তৈরি করে। অথচ ইয়াসমিনের চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাকে রক্ত আছে।

তবে যোগাযোগ করা হলে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদেরকে জানানো হয়েছে মেয়েটি রাস্তায় বান্ধবীদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আহত হয়ে মারা গেছে। হাসপাতালেও দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু লেখা হয়েছে। শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে।’