এখন হাদিয়ার নামে ঘুষের লেনাদেনা হয় : আল্লামা বাবুনগরী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ৩০ ২০১৮, ১৪:৩৫

জুনাইদ আহমদ,হাটহাজারী:
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন,বর্তমান পরিস্থিতি খুবই নাজুক৷সবকিছুতেই আজ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে হারামের সংমিশ্রন পরিলক্ষিত হচ্ছে৷হালাল গ্রহণ করে হারামের সংমিশ্রন থেকে আমাদের বাঁচতে হবে৷বর্তমান সময়ে হাদিয়া;হাদিয়া নয়। অনেক হাদিয়াও এখন ঘুষে পরিণত হয়ে গেছে। হাদিয়ার নামে ঘুষের লেনাদেনা হয়৷ তাই এখন হাদিয়া গ্রহনেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে!

গতকাল ২৮ ই অক্টোবর রবিবার বাদ মাগরিব দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায়” দারুল হাদীস মিলনায়তনে “সর্বোচ্চ হাদীসের কিতাব’বোখারী শরীফে’র পাঠদানকালে ৫১৬৪ নং হাদীসে ব্যাখ্যায় “হালাল গ্রহণ” সংক্রান্ত আলোচনায় এ সব কথা বলেন তিনি৷

আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন,বর্তমানে অনেকেই হালাল-হারামের কোন তোয়াক্কা করে না৷অথচ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা হালাল গ্রহণ এবং হারাম থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন৷তাই মুসলমান হিসেবে সর্বক্ষেত্রে আমাদের হালাল হারামের বাছ-বিচার করে চলতে হবে৷হালাল-হারাম সু-স্পষ্ট৷আর দু’য়ের মধ্যবর্তি হলো মুশতাবাহা বা”সন্দেহ”৷তাই হালাল গ্রহণ করে হারাম এবং সন্দেহযুক্ত জিনিস বর্জন করতে হবে৷

তিনি আরো বলেন,পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন, তোমরা হালাল ভক্ষণ করো এবং নেক আ’মাল করো৷বর্তমানে আমাদের খাদ্যে বেজাল৷আমাদের খাবারে আজ ডাইরেক ইনডাইকের হারামের সংমিশ্রন,তাই আমরা নেক আ’মাল করতে পারি না৷আমালে ছালেহা বা নেক আমালের পূর্বশর্ত হলো হালাল ভক্ষণ করা এবং হারাম থেকে বেঁচে থাকা৷

আল্লামা বাবুনগরী বলেন,খাদ্য গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে৷হাদীশ শরীফে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,হারাম ভক্ষণকারীর শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না৷তাই খুব যাচাই বাচাই করে খাদ্য ভক্ষণ করতে হবে এবং সর্বক্ষেত্রে বাছ-বিচার করে চলতে হবে৷

হাদিয়া দেয়া-নেয়া সুন্নাত৷হাদীয়া আদান প্রদানে মুহাব্বাত বাড়ে৷তবে বর্তমানে অনেক হাদিয়া ঘুষে প্ররিণত হয়ে গেছে৷বর্তমানে স্বার্থ হাসিলের জন্য হাদীয়া প্রদান করা হয়৷হাদিয়ার মাধ্যমে বসে আনার অপচেষ্টা করা হয়৷
তাই আমাদেরকে হালাল-হারামের ব্যপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বণ করতে হবে৷