বদিউজ্জামান সাঈদ নূরসী রহ. “উম্মতের মরণে জীবনের আর্তনাদ” ছোট্ট একটি পুস্তিকা। কালজয়ী খুতবায়ে শামিয়ার উপর রচিত। বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসীর এই বইটি অনুবাদ করেছেন আহমদ বদরুদ্দীন খান। বইটির ৩৩ পৃষ্ঠায় এমন কয়েকটি মূল্যবান লাইন রয়েছে, যেখানে উম্মাহর বর্তমান রোগ সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে। যা ইতিপুর্বে এত নিখূঁতভাবে কাউকে নির্ণয় করতে দেখিনি ৷

আল্লামা সাঈদ নুরসী রহ. বলেন,
“আমি চলমান সময়ের প্রেক্ষাপটে স্থান, কাল ও মানুষের সামাজিক জীবনের বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অর্জন করে উপলব্ধি করেছি যে, বিদেশিরা বিশেষতঃ ইউরোপীয়রা বস্তুবাদী উন্নতিতে অভুতপূর্ব অগ্রগতি লাভ করেছে। অন্যদিকে ৬টি মারাত্মক ব্যাধি আমাদের ( অর্থাৎ মুসলমানদের) বস্তুগত উন্নতি ও অগ্রগতির দিক থেকে মধ্যযুগীয় অচলাবস্থায় ফেলে রেখেছে। আর মুসলিম -উম্মাহর জাগতিক অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সেই ব্যাধিগুলো হচ্ছে :

(০১) আমাদের মাঝ হতাশা সৃষ্টিকারী সকল কার্যকারণের পুনরুত্থান।

(০২) আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততার মৃত্যু।

(০৩) পারস্পরিক শত্রুতা ও বৈরিতার প্রতি আমাদের ভালোবাসা।

(০৪) ঈমানদারদের একের সাথে অন্যের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য বিদ্যমান নূরানী সংযোগ সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা।

(০৫) আমাদের মাঝে সংক্রামক ব্যাধির ন্যায় ছড়িয়ে পড়া স্বেচ্ছাচারিতা।

(০৬) ব্যক্তিস্বার্থকে অন্য সবকিছুর উপর বিবেচনা করা।”

এখানে উল্লেখিত প্রতিটি কথা এতটাই মূল্যবান যার দাম শোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আপনিও যদি উম্মাহকে নিয়ে ভাবেন, তাহলে দেখবেন, এ রোগগুলোই শতভাগ আমাদের মাঝে বিদ্যমান।

রোগ সারাতে প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হবে। তারপর চিকিৎসা। আমরা যথাযথভাবে রোগই নির্ণয় করতে পারছি না। যে কারণে সমাধান অনেক কঠিন হয়ে উঠছে। আল্লাহ তায়ালা মরহুম সাঈদ নুরসীকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন। তাঁর অনুসারীরা আজ রোগের নির্ণয় করে সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ অচিরেই এর সুফল আমরাও পাবো।

সংকলনে: সৈয়দ শামছুল হুদা