ইসলামের শিক্ষা রাগ নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্যপূর্ণ হতে সাহায্য করে
একুশে জার্নাল
আগস্ট ১৭ ২০২০, ১৮:৪৫

মুফতি আহমদ যাকারিয়া
ইসলাম রাগকে একটি মানবীয় ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করে তাকে দমন করতে বলেছে। রাগ দমন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। রাগ মানুষকে জাহান্নামের ইন্ধন বানিয়ে ফেলে। কুরআন ও হাদীসে রাগ দমনের ব্যাপারে অসংখ্য নির্দেশনা এসেছে।
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি কে? জবাবে আল্লাহ বলেছিলেন, ঐ ব্যক্তি, যে রাগের সময় প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও ক্ষমা করে দেয়।’ রাগ দমনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঐতিহাসিক একটি উপদেশ ইতিহাসখ্যাত; বর্ণিত আছে যে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنْ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَوْصِنِي. قَالَ: لَا تَغْضَبْ، فَرَدَّدَ مِرَارًا، قَالَ: لَا تَغْضَبْ” . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ:
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, আমাকে কিছু উপদেশ দিন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘রাগ করো না।’ লোকটি বারবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট উপেদশ চায় আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রাগ করো না।’ (বুখারি)
যেহেতু রাগ দমন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। আর যে ব্যক্তি তা করতে সক্ষম হবে সেই দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব। রাগ দমনকারীদের প্রশংসায় আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, তারাই মহসিন বা সৎকর্মশীল; বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলগণকেই ভালবাসেন।
(আলে-ইমরান:১৩৪)
মানুষ সাধারণত কোনো কারণ ছাড়া ক্রুদ্ধ হয় না। এর মধ্যে কোনো কারণ গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে, আবার কোনোটি অগ্রহণযোগ্য এবং সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ব্যর্থতা, অযৌক্তিক প্রত্যাশা, হিংসা-বিদ্বেষ ও অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানোর মতো কিছু অভ্যাস ও ঘটনার পাশাপাশি অবিচার, জুলুম ও দারিদ্র্যের মতো সামাজিক অসঙ্গতিগুলোই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের রাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তবে রাগ প্রকাশের ধরনের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিভেদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। কিছু লোক আছে, একজনের ওপর রাগ পুষে রেখে অন্যের ওপর তার প্রকাশ ঘটায়। অনেকে আবার সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেউ কেউ আছেন যে, শত অন্যায়ের পরেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান না। তবে যারা রাগকে কৌশলে সংবরণ করে সেই শক্তিকে ভালো কাজে লাগাতে পারেন, তারাই প্রকৃত অর্থে সফলকাম।
ইসলাম মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম ধর্মমতে, রাগ মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত করে এবং মানুষের আচার-আচরণ ও চিন্তায় এর খারাপ প্রভাব পড়ে। ইসলাম বরং রাগান্বিত অবস্থায় ক্ষমা করার ওপর গুরুত্ব প্রদান করেছে। বিশেষ করে কোনো ব্যক্তি যদি প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকার পরেও প্রতিশোধ না নেয় বরং তখন ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তার এ কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
‘রাগ’ ধ্বংস করে দিতে পারে জীবন, সম্পদ, সম্মান এবং পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক। জীবনে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। এ কারণেই নবী সা. এটাকে বলেছেন, ‘আদম সন্তানের অন্তর একটি উত্তপ্ত কয়লা’। (তিরমিজি)
বস্তত আল্লাহর ক্ষমা পেতে হলে তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে হবে। নবী সা. তার ব্যক্তি জীবনে প্রচুর আত্মসংযম ও ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, যখন তাঁকে অপমান, অপদস্থ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে, তখন তিনি প্রতিশোধ প্রবণ হননি বরং ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছেন জীবনের পরতে পরতে। ব্যক্তির রাগ নিয়ন্ত্রণ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে। যে ব্যক্তি রাগ নিয়ন্ত্রণ করে, সে আধ্যাত্মিকভাবে এবং জাগতিকভাবেও পুরস্কৃত হয়।
বস্তুত মানবজীবনে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বড় সাফল্যের পরিচয়।
অনিয়ন্ত্রিত রাগ মারাত্মক ক্ষতিকারক। জ্ঞানীরা বলেন, রাগ হলো বারুদের গুদামের মতো। এ কারণে ব্যক্তি জীবনে রাগ নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কোনো কোনো মানুষ দ্রুত রেগে যায় এবং তাদের রাগও প্রচন্ড। এমনকি মানুষ রেগে গিয়ে গালিগালাজ শুরু করতে পারে, মানুষের সঙ্গে মেলামেশাও বাদ দিতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিরা রাগের কারণে বিভিন্ন দৈহিক রোগেও আক্রান্ত হতে পারে।
আরেক ধরনের লোক হলো এরকম যে, তারা ভারসাম্যপূর্ণ। বিবেক ও নৈতিক শিক্ষার ভিত্তিতে যৌক্তিক পন্থায় নিজেদের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত সাহসী ও আশাবাদী হয়।
এই দুই ধরনের লোকদের বাইরেও আরেক ধরনের লোক আছে, যারা ভয়ের কারণে রাগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে না।
বিষয় যেটাই হোক, এটা সত্য যে, নৈতিক শিক্ষা মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ হতে সাহায্য করে। এ কারণে মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে।
জীবনের এক কঠিনতম সময়ে নবীজি সা. তায়েফে গিয়েছিলেন, আশা করেছিলেন তায়েফবাসী তাঁর কথা শুনবে, তাঁকে সহযোগীতা করবে। কিন্তু সহযোগীতার পরিবর্তে তিনি পেলেন অপমান। তাঁর শরীর থেকে রক্ত গড়িয়ে পায়ে গিয়ে জমাট বাঁধল। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর কাছে একজন ফেরেশতা এলেন। ফেরেশতা তায়েফের দু’পাশের পাহাড় এক করে দিয়ে তায়েফবাসীকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন। কিন্তু নবী সা. এর উত্তর ছিল, ‘না, তা হতে পারে না; বরং আমি আশা করি মহান আল্লাহ তাদের বংশে এমন সন্তান দেবেন, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে কাওকে শরীক করবে না।’ (বুখারি, খণ্ড: ৪, অধ্যায়: ৫৪, হাদিস: ৪৫৪)
হজরত আলী রা. এক যুদ্ধে অমুসলিম বাহিনীর সেনাপ্রধানকে সম্মুখযুদ্ধে ধরাশায়ী করলেন এবং যখন তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলেন, তখন সেনাপতি আলী রা. এর মুখে থুতু নিক্ষেপ করল। সঙ্গে সঙ্গে আলী রা. লোকটিকে ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে গেলেন। তখন ওই সেনাপ্রধান বললেন, ‘আপনি আমাকে হত্যা করতে পারতেন, কিন্তু তা করলেন না কেন?’ উত্তরে আলী রা. বললেন, ‘আপনার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। আপনার সঙ্গে আমি যুদ্ধ করেছি শুধু আপনার অবিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি বিদ্রোহের কারণে। আমার মুখে থুতু নিক্ষেপের পর আমি যদি আপনাকে হত্যা করতাম, তবে তা হয়ে পড়ত আমার ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও প্রতিশোধস্পৃহার বহিঃপ্রকাশ, যা আমি কখনোই চাই না। তাই আমি আপনাকে হত্যা করা থেকে বিরত থেকেছি’।
(সাহাবা চরিত) এমন আচরণ হওয়া চাই আমাদের সবার।
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপকারিতা:
কোরআন ও হাদিসে রাগ দমনের একাধিক উপকারিতা বর্ণনায় এসেছে। রাগ দমনকারীর জন্য জান্নাতের ঘোষণা দিয়ে রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তুমি রাগ করবে না, তাহলে তোমার জন্য জান্নাত।’ (তাবরানি, হাদিস:২১)
অন্য হাদিসে রাসুলে সা. বলেন, ‘সে ব্যক্তি শক্তিশালী নয়, যে ব্যক্তি কুস্তিতে লড়ে অপরকে ধরাশায়ী করে, বরং প্রকৃতপক্ষে সে ব্যক্তিই শক্তিশালী, যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করতে পারে।’
(বুখারি, হাদিস:৬৮০৯)
নবী সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের ক্রোধ চরিতার্থ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা সংবরণ করে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন সমগ্র সৃষ্টির সামনে ডেকে আনবেন এবং জান্নাতের যে কোনো হুর নিজের ইচ্ছে মতো বেছে নেওয়ার অধিকার দান করবেন।’
(ইবনে মাজাহ: ৪১৮৬)।
রাসুলুল্লাহ সা. আরও বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে, তা অন্য কিছুতে নেই।’ (ইবনে মাজাহ: ৪১৮৯)।
রাগ হলে করণীয় কী?
নবী সা. এর জীবন থেকে এমন অসংখ্য ঘটনা বা উপদেশ আমরা দেখতে পাই, যেগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, যখন রাগ আমাদের গ্রাস করতে চায় কিংবা আমরা রাগান্বিত অবস্থায় থাকি, তখন আমাদের কী করা উচিত
এক- চুপ থাকা:
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন কোরো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো।’
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৪৭৮৬)
দুই- আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা:
দুই ব্যক্তি নবী করিম সা. এর কাছে বসে পরস্পর গালাগাল করছিল। তাদের একজনের চোখ লাল হয়ে উঠল ও গলার শিরা ফুলে গেল। তখন নবী সা. বলেন, ‘আমি এমন একটি কালেমা জানি, যা পাঠ করলে ক্রোধ দূর হয়ে যায়। আর তা হলো; “আউযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বনির রাজিম” অর্থাৎ, আমি বিতাড়িত শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।’
(মুসলিম, হাদিস: ৬৩১৭)
রাগ ইসলামে হারাম কাজ। যদি কারো রাগ এসে যায়, তাহলে ইসলাম এই রাগকে যেভাবে হোক প্রশমন করার জন্য, রাগ থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য, প্রথমে যে বিধান দেওয়া আছে সেটা হচ্ছে, শয়তানের কারণেই মূলত এই রাগের উদ্ভব ঘটে। শয়তান যদি কোনোভাবেও তৈরি করে থাকে অথবা কোনো বিষয়ে তাঁকে প্রলুব্ধ করে থাকে, তখন সেখান থেকে মূলত রাগের উদ্ভব হয়। তাই নবী সা. যেটি পছ্ন্দ করেছেন, সেটি হচ্ছে, ‘আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করা।’ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ইশতেহাদা করা। এটা হচ্ছে রাগের প্রথম ধাপ।
“আউযুবিল্লাহিমিনাশ শায়তনির রাজিম” পড়ার পর যদি দেখা যায় যে, রাগ কমে গেছে, তাহলে ভালো। তাহলে তিনি রাগ কিছুটা প্রশমন করতে পারলেন। রাগ থেকে মুক্ত হতে পারলেন।
তিন- ওজু করা:
নবী সা. ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয় পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয়, তখন সে যেন অজু করে।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৬)
অজু করতে পারলেও রাগ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। রাগ কমতে পারে।
চার- শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন:
রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যখন তোমাদের কারো রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৪)
ওযু করার দ্বারা যদি দেখেন রাগ কমছে না, তাহলে সে সময় যে অবস্থায় থাকবেন তা থেকে অন্য অবস্থায় চলে যাওয়া। যেমন : দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়া। বসে থাকল শুয়ে পড়া। এই অবস্থার পরিবর্তন হলে মানুষের মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে রাগ আসলে যে অবস্থা তৈরি হয়ে থাকে, সেখান থেকে কিছুটা হালকা হতে পারে।
এটা মূলত নির্ভর করছে ব্যক্তির অবস্থার ওপর। অনেকের বিবেক-বিবেচনাও হারিয়ে যায়। যদি এটা প্রকট হয় তাহলে তিনি সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করবেন যে কারণে রাগ হচ্ছে, সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া। তাহলে রাগটা ঠান্ডা হতে পারে। এটা হলো রাগ থেকে বাঁচার জন্য ইসলামের বিধান।
রাসুল সা. রাগ থেকে আল্লাহর বান্দাকে বিরত থাকতে বলেছেন। কারণ, রাগ এমন একটা অবস্থা যে, এর মাধ্যমে তাঁর যত ভালো কাজ আছে, সবগুলোকে নষ্ট করে দিতে পারে, ভস্মীভূত করে দিতে পারে। কারণ রাগের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই রাগ থেকে বিরত রাখার জন্য যত ধরনের চেষ্টা রয়েছে, সবগুলো করতে বলা হয়েছে যাতে করে রাগ থেকে আমরা নিজেরা বিরত থাকতে পারি।
রাগ মূলত মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। কারণ যখন কারো রাগ এসে যায়, তখন তাঁর কর্মকাণ্ড এমন হয় যে, পরবর্তী সময়ে নিজেকে লজ্জিত হওয়া ছাড়া তাঁর আর কোনো উপায় থাকে না। তখন সে ভাবে, আমার মতো লোক এই কাজ করেছি! তাই এ কাজ থেকে আমাদের দূরে সরে আসতে হবে।
উপসংহার:
রাগের সময় মানুষ এমন কথা ও কাজ করে, যার কারণে তার অন্তরে পরবর্তীতে অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং সে লজ্জিত হয়। এমনকি রাগের কারণে অন্তর হতে পবিত্র ঈমান পর্যন্ত দূরীভূত হয়ে যায়।
সুতরাং রাগকে দমন করাই হবে নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম কাজ।
আল্লাহ তাআ’লা সমগ্র মানব জাতিকে রাগ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে ধীরস্থিরভাবে কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।