ইবিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল “মুক্তির আহ্বান” ও “শাশ্বত মুজিব” উন্মোচিত 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ১৭ ২০২০, ১৫:০১

শাহরিয়ার কবির রিমন, ইবি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(ইবি) বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্বলিত “মুক্তির আহ্বান” ও জন্মশতবর্ষ স্মরণে “শাশ্বত মুজিব” নামে দুইটি ম্যুরাল উন্মোচন করা হয়েছে।

আজ ১৭ মার্চ বেলা ১১ টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে ম্যুরাল দুটি উন্মোচন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ হারুন-উর-রশিদ অসকারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ মোঃ সেলিম তোহা প্রমুখ।

এর আগে সকাল দশটায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে এসে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর হারুন-উর-রশিদ আসকারী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ মোঃ সেলিম তোহা।

 

এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্মুখে বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল উন্মোচন পরবর্তী সময়ে প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মকে তুলে ধরা। বাঙালী জাতির মুক্তির অঙ্কুরোদগম হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের মধ্যে দিয়ে। তিনি পুরো জাতিকে দীর্ঘ ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের পথ ধরে সুদীর্ঘ নয়মাস গনযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করেছিল স্বপ্নের সোনার বাংলাকে।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা কখনোই মুজিব ম্যুরাল নির্মাণ করে এর প্রয়োজনীয়তা শেষ করতে পারব না। অসংখ্য ম্যুরালের প্রয়োজনীয়তা এখনো রয়েছে। আমি মনে করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আজকে যে ম্যুরাল উন্মোচন করা হল তা শুধু এই হলের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়। বাকি যে আটটি হল রয়েছে এই অসামান্য সফল প্রতিভাবান বাঙালি জাতির নেতাকে তারা কোনো না কোনভাবে ধারণ করবে। আমরা আজকে যে দুটি ম্যুরাল উন্মোচন করলাম বিশেষ করে মুক্তির আহ্বান তা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত নয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণ প্রতিটি বাঙালির প্রতিটি শব্দের সাথে পরিচিত থাকা উচিত। এই ভাষণটি কেবল এক হাজার একশত সাতটি শব্দ নয় । বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস এখানে লুকায়িত রয়েছে। এই ভাষণে বাঙালি জাতি কিভাবে মুক্তি লাভ করবে, হাজার বছর পরে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাঙালি জাতি কিভাবে টিকে থাকবে, আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করবে সেই দিক নির্দেশনা রয়েছে।

দায়িত্বগ্রহণের পর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম যে এই শ্বাসত মুজিব ও তার স্মৃতি আমরা ১৭৫ একরের প্রায় প্রতিটি জায়গায় স্থাপন করব। এ ভাষণটি সাড়ে সাত কোটি মানুষকে আলোড়িত করেছে, এখন সারা বিশ্বকে আলোকিত করছে, এ ভাষণের স্বীকৃতি এখন ইউনেস্কো দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য অনন্য দলিল, বাঙালি জাতির ম্যাগনাকার্টা। ‘মুক্তির আহ্বান ও শ্বাশত মুজিব’ মুজিববর্ষের প্রথম দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সবচাইতে বড় সফলতা এবং অর্থবহ চমক হিসেবে আমরা এটাকে স্বীকৃতি দিচ্ছি।”