ইবি প্রতিনিধি: ভারতের পর এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ডাইনিংয়ে গরুর মাংস রান্নার উপর নিষিধাজ্ঞা আরোপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ডাইনিংয়ে গরুর মাংস রান্না করায় হলের প্রভোস্ট ডাইনিং ম্যানেজারকে শ্বাসিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ম্যানেজার। এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে হল প্রভোস্ট বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

সূত্র মতে, হলের ডাইনিং ম্যানেজার তোতা মন্ডল প্রায় এক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সপ্তাহে একদিন (শুক্রবার) স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। খাবারের তালিকায় গরুর মাংস রাখা হয়। গত সপ্তাহে গরুর মাংস রান্না করায় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার ম্যানেজারকে গরুর মাংস বিক্রি করতে নিষেধ করেন বলে দাবি করেছেন ম্যানেজার।

ডাইনিং ম্যানেজার তোতা মন্ডল বলেন, ‘গত সপ্তাহে ডাইনিংয়ে খাবারে তালিকায় গরুর মাংস রাখায় প্রভোস্ট ফোন দিয়ে আমাকে থ্রেট করেন (শ্বাসান)। একই সাথে জিজ্ঞেস করেন যে, কার কাছে অনুমতি নিয়ে হলে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে? এ হলে গরুর মাংস রান্না ও বিক্রি নিষিদ্ধ। তাই এ সপ্তাহে গরুর মাংস রান্না করি নি।’

হঠাৎ হলে গরুর মাংস বিক্রি নিকরায় কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। হলের একধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তিনি সবসময় অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে গেছেন। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধু হলেরই প্রভোস্ট গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেছেন। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

এবিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ডাইনিংয়ে রান্নার একটা শিডিউল করে দিয়েছিলাম। শিডিউলে মাসের প্রথম শুক্রবারে খাসির মাংস, ২য় শুক্রবারে গরুর মাংস ও ৩য় শুক্রবারে মুরগির রোস্ট করার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সে এই শিডিউল ভেঙ্গে প্রতিদিন গরুর মাংস রান্না করছিল। তাই তাকে আমি শিডিউল অনুযায়ী রান্না করতে বলেছিলাম।’

এদিকে হলের ডাইনিংয়ের খাবারের তালিকার বিষয়ে হল প্রভোস্টের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয় কিনা তা জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের ডাইনিং ম্যানেজাররা বলেন, ‘হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাইনিংয়ের খাবারে কোন নির্দ্দিষ্ট তালিকা দেয়া হয় না। আমরা শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করি।’