ইফার ১০১০ টি দারুল আরকাম মাদরাসার শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ১৫ ২০২০, ০৭:৪৭

সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা বঞ্চিত দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকার ১০১০ টি দারুল আরকাম মাদরাসার শিক্ষকগণ বেতন পাচ্ছেন না। এসব মাদরাসার শিক্ষকগণ পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষা কার্যক্রমে।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের প্রাথমিক শিক্ষা বঞ্চিত অঞ্চলে এসব মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৮ সালে ইফার নিজস্ব সিলেবাসে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত কার্যক্রম চলার পর ২০২০ সালে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নিত করা হয়।

ইফা সুত্রে জানা যায়, মাদরাসাগুলো মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের অধীনে থাকায় প্রকল্প পাশ নিয়ে নানা জটিলতায় বেতন-ভাতা বন্ধ।

শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ইফার কাছে দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধ ও ২০১৫ সালের সরকার প্রদত্ত পে-স্কেল প্রদানের আবেদন জানান।

বাগেরহাটে দারুল আরকামে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে চাকরির অভাব। তাই ক্বওমী ও আলিয়া মাদরাসা থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেও সামান্য টাকার এ চাকরি করছি। ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে যাওয়া-আসা করছি। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি।

রাঙামাটির শিক্ষক ফয়জুল হাসান বলেন, ‘নিজের ছোট ছোট সন্তান ও বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকি। মা-বাবার ঔষধ-পত্র যোগান দূরের কথা, দুই বেলা ভাত জুটাতে হিমশিম খাচ্ছি।’

বেতন-ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইফার এক পরিচালক বলেন, ‘মাদরাসাগুলো মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রজেক্টের অধীন, ৪ মাস ধরে প্রকল্প এক্সচেঞ্জ নিয়ে নানা জটিলতা হচ্ছে। যেহেতু মাদরাসাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাই এইগুলোর (মাদরাসা) ফিউচার ভালো। তবে প্রজেক্ট পাশ হওয়ার পরও বেতন-ভাতা পেতে ২ মাসের মতো সময় লাগে। প্রজেক্ট পাশ হওয়ার পর বলা যাবে কবে বেতন ছাড় হবে।