ইজতেমা ময়দানে আহতদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাবলীগ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৬ ২০১৮, ১১:১৯

গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কাজেরত আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্র ও সাধারণ তাবলীগি সাথীদের উপর অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালায় বিতর্কিত আলেম মাওলানা সা’দ কান্ধলবীর অনুসারী ওয়াসিফুল ইসলাম গং। এতে ১ জন নিহত ও আহত হয় অসংখ্য। পরে এর প্রতিবাদে গত ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশের দাওয়াত তাবলীগের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তি বা মুরব্বীগণ। সেখানে হামলার দায়ে ওয়াসিফুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন নাসিমসহ ষড়যন্ত্রকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়। যদিও প্রশাসন এখনো তাঁদের গ্রেপ্তারেনি।

আজ ০৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) আবারো ৭ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশের দাওয়াত তাবলীগের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তি বা মুরব্বীগণ। এতে সেদিনের হামলায় আহত পঞ্চাশের অধিক ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন।

দাবিগুলো হলো- এ হামলার নির্দেশ দাতা ওয়াসিফুল ইসলাম ও সাহাবুদ্দীন নাছিম গং সহ প্রফেসর ইউনুছ শিকদার, মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা মোশারফ সহ হামলার সাথে জড়িত সকলকে অতিসত্ত্বর গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। টঙ্গী ময়দান এতদিন যেভাবে শুরা ভিত্তিক পরিচালিত তাবলীগের সাথী ও ওলামায়ে কেরামের অধীনে ছিল তাঁদের কাছেই হস্তান্তর করা। অতিসত্ত্বর কাকরাইলের সকল কার্যকলাপ হতে ওয়াসিফ ও নাসিম গংকে বহিষ্কার করা। সারাদেশে ওলামায়ে কেরাম ও শুরা ভিত্তিক পরিচালিত তাবলীগের সাথীদের উপর হামলা মামলা বন্ধ করে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। টঙ্গীর আগামী ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা পূর্বঘোষিত তারিখেই (১৮, ১৯১ ২০শে জানুয়ারী প্রথম পর্ব ও ২৫, ২৬, ২৭শে জানুয়ারী দ্বিতীয় পর্ব) অনুষ্ঠানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। টঙ্গী ইজতেমার মাঠে অতিসত্ত্বর আযান, নামাজ ও কারগুজারী চালু করা ও ময়দানের মাদরাসা দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা।