আশুলিয়ায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং
একুশে জার্নাল ডটকম
জুন ০১ ২০২০, ১৫:১৬

মোঃ উজ্জ্বল (আশুলিয়া) প্রতিনিধি;
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় ভয়ংকর একটি কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। আনোয়ারের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন সঙ্গবদ্ধ কিশোরদের নিয়ে গড়ে উঠেছে এই গ্যাং। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী।
কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আশুলিয়ার উত্তর ডেন্ডাবর এলাকার মোঃ দেলোয়ার কন্ট্রাক্টারের ছেলে আনোয়ার, অপরজন একই এলাকার মোঃ সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন।
এদের মধ্যে আরিফ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলো। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় বার বার সে ছাড় পেয়েছিলো।
বর্তমানে এমন কোন অপর্কম নাই,যা তারা করছে না। মাদক সেবক,মাদক ব্যবসা,চুরি ছিনতাই,চাঁদাবাজি,ইভটিজিং, সাধারণ মানুষের উপর অকারণে নির্যাতনসহ নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
ডেন্ডাবর এলাকার দশতলা রোড বাতানটেক,মিজান হাজীর বাশ বাগান এলাকায় এদের অপরাধ তৎপরাতা বেশি দেখা যায়।
এ গ্যাংয়ের প্রধান আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসা ও ফিটিং বানিজ্য।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে তারা আনোয়ারের নেতৃত্বে এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে। সেই সাথে তারা মাদকের টাকা জোগাড় করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। একটু দোষ ক্রুটি পেলেই তারা সঙ্গবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে দেরি হলে বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা।
স্থানীয়রা জানান,এদের অভিভাবকদের কাছ অভিযোগ দিলে তারা উল্টো ভূক্তোভোগিকেই দোষারোপ করে এবং বলে দেয় এলাকায় থাকলে পোলাপানদের খেয়াল রাখতে হবে।
অপরিচিত ছেলে মেয়েদের একসাথে চলতে দেখলে অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে টাকা ও মোবাইল জিম্নি করে নিয়ে যায়।
গত রবিবার ( ৩১/০৫/২০) ইং সন্ধ্যায় আশুলিয়ার স্থানীয় সংবাদকর্মী মোঃ সায়েম সরকারের কিশোর পুত্র ইয়াসিন আরাফাত প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে বাজারে যাওয়ার পথে দশতলা এলাকায় আনোয়ার ও আরিফের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন মিলে রাস্তায় আটকিয়ে তার কাছে থাকা টাকা জোর করে নিয়ে যায় এবং ব্যাপক মারধর করে।
আনোয়ার ও আরিফের নেতৃত্বে গ্যাংটি এতটাই বেপরোয়া যে এলাকার সুশীল সমাজের গলার কাটা হয়ে উঠেছে তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে জরুরি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন না করলে হয়তো বড় ধরনের অপরাধ জগৎ তৈরি হতে পারে বলে আশষ্কা বিজ্ঞ মহলের।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ- পরির্দশক (এস আই) মোঃ রকিবুল ইসলাম জানান, ভুক্তোভোগি সায়েম সরকার একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।