আশুরায় তাজিয়া মিছিল ও কুপ্রথা পালন হযরত হুসাইন রা. এর আদর্শ পরিপন্থী
একুশে জার্নাল ডটকম
আগস্ট ২৮ ২০২০, ২০:০০
মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন: রহমতিয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন জুমার বয়ানে বলেছেন, পবিত্র আশুরা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। শুধু কারবালার প্রান্তরে হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্য আশুরা মর্যাদাবান ও গুরুত্বপূ হয়নি। বরং পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে বহু অলৌকিক ও স্মরণীয় গঠনার করনে মহররমের দশম তারিখ অর্থাৎ আশুরার দিন তাৎপর্যপূর্ণ। মর্যাদাপূর্ণ এই দিনে হযরত হুসাইন রা. কারবালার ময়দানে অসত্যের মোকাবেলায় শাহাদাত বরন করে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন। কারবালার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকেও বাতিলের মোকাবেলায় হক প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই দিনে মাতম করা, হায় হাসান হায় হুসাইন ইয়া আলী বলে বুক চাপড়ানো, ছুরি দ্বারা আঘাত করে নিজ শরীরকে রক্তাক্ত করা, সম্মিলিত হয়ে শোকগাঁথা পাঠ করা, শোক মিছিল এবং তাজিয়া মিছিল করা— ইসলামি শরীয়তে এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। বরং বিনা অজুহাতে শরীরের কোনো অংশে আঘাত করে রক্তাক্ত করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম ও হযরত হুসাইন রা. এর আদর্শ পরিপন্থী। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের বর্ণনায় ফুটে ওঠেছে আশুরার মর্যাদা। যে কারণে প্রিয় নবি আশুরার দিনে রোজা রাখার কথা বলেছেন। বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফারের কথা বলেছেন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (স) ইরশাদ করেন, রমজানের পর সব রোজার (নফল) মধ্যে আশুরার রোজা সর্বশ্রেষ্ঠ। (তিরমিযি)
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী (স) ইরশাদ করেন, আশুরার দিনে নবীগণ রোজা রাখতেন, সুতরাং তোমরাও এই দিনে রোজা রাখো। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা)। হযরত আবু কাতাদা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী মহান আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (মুসলিম শরীফ)।