“আমি হাসপাতাল ভাঙচুরের হুমকি দিইনি, জিল্লুর রহমান ভাই মিথ্যাচার করেছেন”

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ০৩ ২০২৫, ১৯:২৩

সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে একটি ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা করেছেন তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। তবে তিনি যেভাবে ঘটনাটি উপস্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত মরদেহ হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি। মৃত শিশুর স্বজনরা তার কাছে সহায়তা চাইলে তিনি হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু পরিচালক কোনো কথাই বলতে রাজি হননি।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে হাসনাত বলেন:

“আমি রোগীর স্বজনকে বলি ফোনটা লাউডস্পিকারে দিতে। এরপর পরিচালকের উদ্দেশে বলি, ‘আপনি টাকা কমাবেন কি না, সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। কিন্তু কথা পর্যন্ত বলবেন না—এমন সংস্কৃতি বাংলাদেশে নেই। আপনার হাসপাতালে বিল কমানোর নিয়ম না থাকলে সেটা আলাদা বিষয়, কিন্তু আমরা অনুরোধ তো করতেই পারি।’”

কিন্তু পরিচালক কোনো উত্তর না দিয়ে তাকে হাসপাতালে গিয়ে কথা বলার পরামর্শ দেন।

হাসনাত বলেন, “আমি তখন কুমিল্লায় ছিলাম, যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই বিষয়টি সাংবাদিকদের জানাই এবং অনুরোধ করি, তারা যেন খোঁজ নেন এবং কিছু করা যায় কি না দেখেন।”

এরপর সাংবাদিকরা হাসপাতালে গেলে কর্তৃপক্ষ তাদের অপেক্ষা করতে বলে, কিন্তু পরে আর তাদের সঙ্গে দেখা করেনি।

পরে এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসনাত আবদুল্লাহকে ফোন দিলে তিনি তাকে পুরো ঘটনা ব্যাখ্যা করেন এবং প্রশ্ন তোলেন—”টাকার জন্য লাশ আটকে রাখা কতটা মানবিক?”

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন এবং পরে অর্ধেক বিল মওকুফ করা হয়।

তবে ঘটনার এই প্রকৃত রূপ উপস্থাপন না করে, জিল্লুর রহমান তা বিকৃতভাবে প্রচার করেছেন বলে অভিযোগ করেন হাসনাত।

“জিল্লুর ভাই একপক্ষের কথা শুনে ঘটনাটি রংচঙ মাখিয়ে উপস্থাপন করেছেন, অথচ আমার বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।”—বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।