আমি নারী শিক্ষার বিরোধী নই, সহশিক্ষার বিরোধী: আল্লামা আহমদ শফী
একুশে জার্নাল ডটকম
জানুয়ারি ১৭ ২০২০, ১৯:১৮
হাবীব আনওয়ার
উত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী দীনি ও সেবামূলক সংগঠন রাউজান ইসলামী নবজাগরণ ও ইসলামী সম্মেলন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে রাউজান গহিরা উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ১৭ জানুয়ারি( শুক্রবার) সকাল ১০ টা থেকে মাহফিল শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান আমির, দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম হাটাহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা আহমদ শফী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নারী পুরুষ এক সাথে বসে পড়াশোনা করাকে সহশিক্ষা বলে। আমি নারি শিক্ষার বিরোধী নই। সহশিক্ষার বিরোধী। কেননা সহশিক্ষার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি পিতৃতুল্য শিক্ষকও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে। এসব সহশিক্ষার কুফল। আমি সহশিক্ষার বিরোধী। আপনারা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবেন সে যেন নারীদের আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে। নারীদের নিরাপদ আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে নারীরা ধর্ষণ যৌন হয়রানি থেকে রেহায় পাবে।
তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের ঘরে এখন কোরআন তেলাওয়াত নেই। আপনারা আমার সাথে ওয়াদা করেন, আজ থেকে কোরআন পড়বেন। ঘরের সকল সদস্য নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করবেন। আপনাদের বিবিদের পর্দা মেনে চলতে আদেশ করবেন। কেননা ইসলামে পর্দা ফরজ। যে মেয়েকে আপনি বিবাহ করতে পারবেন, তাদের সামনে বিবাহের পূর্বে পর্দা করতে হবে। এটা ইসলামের বিধান। আপনারা ঘরে ঘরে পর্দার বিধান জারি করুন।
আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, আপনারা মাহফিলে এসেছেন। দীনের অনেক কথা শুনেছেন। যদি এসব মতে আমল না করেন তাহলে কোনো লাভ নেই। ওয়াজ শুনে আমল করতে পারলে তবেই কামিয়াব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন। অন্যথায় জাহান্নামের কঠিন আজাব ভোগ করতে হবে। মাতাপিতার হক আদায় করবেন। তাদের চেহারা দেখলে একটি হজের সওয়াব হয়। তাদের সাথে কখনও অসদাচরণ করবেন না। উচ্চবাক্যে কথা বলবেন না। অনেক কষ্ট করে আপনাকে লালন পালন করেছেন। তারা না খেয়ে আপনাকে খাইয়েছে। তাদের সাথে ভাল আচরণ করবেন। সমাজ এখন অনেক খারাপ। মদপানের টাকা না দিলে মাবাবার উপর অত্যাচার করে। যুব সমাজ! সাবধান। সবাইকে মরতে হবে।
আমি অসুস্থ। দাওয়াত গ্রহণ করেছি বলে এসেছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। বয়ানে যা বলা হয়েছে মেনে চলবেন।
উক্ত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান মুফাচ্ছির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট দাঈ মাওলানা মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আল-মোবারক। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, মাওলানা মুফতি মেরাজুল হক মাজহারী, মুফতি নুরুল আমিন ফরিদী, মাওলানা ইসমাঈল খান, মাওলানা মোস্তাফা নূরী, গাজী মাওলানা ছানাউল্লাহ, মাওলানা হারুন আজিজী নদভী, প্রমুখ।