আনোয়ারার চৌমুহনী বাজারের বেহাল দশা; বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১১ ২০২০, ১৯:৫৩

মাহফুজুর রহমান – আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি;

৬০ লাখ টাকা খরচের পরও শান্তিতে নেই আনোয়ারার প্রধানতম ব্যবসাকেন্দ্র চৌমুহনী বাজারে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ২০ লক্ষাধিক টাকায় নির্মিত ড্রেন ময়লা আবর্জনায় ভর্তি, সড়ক ডুবে পানি চলাচল করার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই জমে যায় হাঁটুপানি। এতে বাড়ছে ভোগান্তি।

গতকাল বুধবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চাতরী ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইট থেকে সিইউএফএল সড়ক চাতরী কাঁচাবাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০ ফুট প্রশন্ত সড়কের উভয় পাশেই গড়ে উঠেছে শতাধিক দোকান। এই দোকান গুলোর কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সড়কের উল্টোদিকের ফুটপাতের পুরোটাই অবৈধ দখলে। পথচারীদের চলাচলের জন্য কেনো জায়গা রাখা হয়নি সড়কের মধ্যে গাড়ি পার্কিং করে রাখায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজটের কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েন কেইপিজেড, সিইউএফএল, কাফকো, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সরকারি বেসকারি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দেখছি অল্প বৃষ্টিতেই বাজারে পানি জমে যায়। পানি চলাচলের ড্রেন থাকলেও পরিষ্কার না করায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। এটা বৃষ্টির মৌসুম, এসময় প্রায়ই বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিতে এমন জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, পিএবি সড়কের চাতরী চৌমুহনী বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে উপজেলা প্রশাসন ৬০ লক্ষ টাকা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে। এর মধ্যে সড়কের দুই পাশে পানি চলাচলের জন্য ড্রেন নির্মাণে ব্যয় হয় ২০ লাক্ষ টাকা, ফুটপাত ও গোল চত্বরও তৈরিতে ব্যয় হয় ৪০ লাখ টাকা। উপজেলা প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকা ও অব্যবস্থাপনার কারণে ৬০ লক্ষ টাকার উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। বর্তমানে ড্রেইনে ময়লা আবর্জনার স্তুপে একটু বৃষ্টিতেই হাঁটু পানিতে সড়ক উপচে পড়ে। দোকানিরা দিন শেষে ব্যবসা বাণিজ্যের পর ময়লা আবর্জনা ড্রেইনে ফেলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এতে দেখার কেউ নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, গত বছর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ড্রেইনের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে তাগেদা দেয়ার পরেও নির্দিষ্ট স্থানে ব্যবসায়ীরা ময়লা আবর্জনা ফেরার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।