আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে এনপিপি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১৫ ২০২২, ১৮:৪৪

ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে এনপিপি। নির্বাচন ইভিএম বা ব্যালট যে নিয়মেই হোক এনপিপি তাতে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যই হচ্ছে গণতন্ত্রের বিকাশ ও দলকে শক্তিশালী করা। সাম্যের রাজনীতি ও সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। গাইবান্ধার নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা এবং সমালোচনা করা হচ্ছে। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যেটা সঠিক মনে করেছে সেটাই করেছে। নির্বাচন কমিশনই সঠিক কাজ করেছে। এর আগে, গত সংসদ নির্বাচনে ৮২টি আসনে অংশ গ্রহণ করেছে এনপিপি।

 

শনিবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি-এনপিপি’র অঙ্গ সংগঠন ন্যাশনাল পিপলস্ ওলামা পার্টি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে মাওলানা মুহা. লোকমান সাইফীকে সভাপতি ও মুফতি ছাইফুর রহমান ছাইদী কে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী ২ বছরের জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ন্যাশনাল পিপলস্ ওলামা পার্টির কমিটি ঘোষণা করা হয়। ন্যাশনাল পিপলস্ ওলামা পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা মুহাম্মদ লোকমান সাইফির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, এনপিপির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই মণ্ডল, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. ইদ্রিস চৌধুরী, শেখ আবুল কালাম, মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ, এনপিপির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছাবের আহাম্মদ (কাজী ছাব্বীর), শেখ ইকবাল হাসান স্বপন ও শেখ জামাল উদ্দিনসহ এনপিপি ও ওলামা পার্টির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

 

জাতীয় নেতা মরহুম শেখ শওকত হোসেন নিলু একটি লক্ষ্য নিয়ে এনপিপি দল সৃষ্টি করেছিলেন। তার একটি স্লোগান হচ্ছে ‌‌‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা।’ আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। শেখ শওকত হোসেন নিলুর একটা দাবি ছিল- ‘সমস্ত মসজিদ ও মন্দিরের ইমাম ও পুরোহীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানী ভাতা দেওয়া হোক।’ আমরা এখন সেই দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি। যাতে মসজিদের ইমামদের সম্মানী সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা ও মুয়াজ্জিনদের ১০ হাজার টাকা সম্মানী দেয়া হয়।

 

ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। যার প্রেক্ষিতে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই সরকারের কাছে আবেদন করব রেশন কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস জনগণের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য। বিদ্যুতের উৎপাদন আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু তেলের দাম যখন বৃদ্ধি পায় তখন এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ যেত আর এখন পাঁচ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। এর প্রধান কারণ বিদ্যুৎখাতে সীমাহীন দুর্নীতি। এই খাতে যে পরিমাণ দুর্নীতি ও কুইক রেন্টালে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় তা দিয়ে আরও দুইটা পদ্মা সেতু তৈরি করা যায়। দুর্নীতি না হলে তেলের দাম ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। বরং নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া যেতো।