আকাশচুম্বী জনপ্রিয় ব্যক্তি মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকী
একুশে জার্নাল
ডিসেম্বর ০২ ২০১৮, ১০:৪৭

উলামায়ে দেওবন্দের পথ ও মতের অনুসারী,সুমধুর কন্ঠের অধিকারী,দেশ-বিদেশে লক্ষ কোটি মানুষের মন জয়কারী প্রখ্যাত ওয়ায়েজ মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকী সাহেব (কুয়াকাটার হুজুর দা.বা.) ৷
বর্তমান সময়ের সবচে জনপ্রিয় ওয়ায়েজ তিনি৷আকাশচুম্বি তাঁর জনপ্রিয়তা৷পুরো বিশ্বে রয়েছে তাঁর অগণিত ভক্তবৃন্দ ৷
দেশের শহর, বন্দর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ গাঁও-গেরামেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত৷দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুরআন -সুন্নাহর বাণী প্রচারে দৈনিক একাধিক ইসলামী সম্মেলনে ওয়াজ করেন তিনি৷পুরো বছরজুড়েই থাকে তাঁর ওয়াজের শিডিউল৷সুমধুর কন্ঠে ওয়াজ শুনতে তাঁর প্রতিটি মাহফিলে শ্রোতাদের ঢল লক্ষ করা যায়৷তাঁর ওয়াজের সময় প্যান্ডেলে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না৷
তাঁর ওয়াজের রয়েছে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট৷ওয়াজের প্রারম্ভে ব্যাতিক্রমধর্মী খুতবা,সম্পূর্ণ নিজস্ব সুরে আরবী, উর্দু ও বাংলা শে’র বা কবিতা৷
মনকাড়া,প্রাণজুড়ানো সুরের মাধ্যমে তিনি কুরআন ও হাদীসের মূল্যবান বাণী তুলে ধরেন শ্রোতাদের সামনে৷আশ্চর্য ধরনের একজন ব্যক্তি মাওলানা সিদ্দিকী সাহেব৷তাঁর প্রতিটি কথা যেন শ্রোতাদের অন্তরে প্রভাব ফেলে৷তাঁর ওয়াজ শুনে অনেক শ্রোতাকে আমি কাঁদতে দেখেছি৷তাঁর বয়ান শুনে অনেক হিন্দু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে৷অনেক বেনামাজী পাঞ্জেগানার মুসল্লি হয়েছে৷অনেক দাঁড়িবিহীন যুবক নবীর সুন্নাত লম্বা দাঁড়ি রেখেছে এর প্রমাণ ভুরিভুরি৷
তাঁর মুখে আমি শুনেছি,তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অফিসে স্পষ্ট লিখে রেখেছেন যে, হেলিকপ্টারে প্রোগ্রামের জন্য কোন অনুরোধ করবেন না৷সময় বাঁচাতে,অপারগতাবশত একান্তই যদি হেলিকপ্টারে প্রোগ্রাম করতেই হয় তাহলে হেলিকপ্টার ভাড়া যেন মাহফিল উপলক্ষে মাদরাসা কিংবা সংগঠন এর চাঁদা থেকে দেয়া না হয়৷এককভাবে কোন ব্যক্তি যদি খুশি মনে নিজ খরচে হেলিকপ্টারে প্রোগ্রাম করাতে চান তাহলে সেটা বিবেচনা করা হবে৷
এমন কড়া শর্তের পরও একের পর এক হেলিকপ্টার প্রোগ্রাম৷মানুষ টাকা কে টাকা মনে করে না৷হেলিকপ্টারের মাধ্যমেই প্রোগ্রাম করাতে চায়৷চাইলে পুরো বছর তিনি হেলিকপ্টারে উড়ে প্রোগ্রাম করতে পারবেন৷কিন্তু না!ক্ষেত্র বিশেষ একান্ত কারণ ছাড়া তিনি হেলিকপ্টারে প্রোগ্রাম করেন না৷
তিনি উড়তে চান না;আমরা জোরপূর্বক তাঁকে উড়াই৷
এরপরও সকল দোষ তাঁর কেন(?)আপনি তাঁকে উড়াবেনও আবার হেলিকপ্টার হুজুর ট্যাগও দিবেন এটা কেমন ইনসাফ(??) আপনার বিবেক কে প্রশ্ন করুন৷ একজন আলেমেদ্বীনকে হেলিকপ্টার হুজুর ট্যাগ দেয়া কি আদৌ ঠিক??
মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকীর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা দেখে তথাকথিত বক্তা, নামধারী কিছু হিংসুক আলেমের গাত্রদাহ হয়৷হিংসার আগুনে তেলে বেগুনে জ্বলে তারা৷সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তাকে মেনে নিতে না পেরে অর্বাচিন বালকের মতো মুখে যা আসে তাই বলে বেড়ায় সমাজে৷এসব হিংসুকের হিংসায় মাওলানা সিদ্দিকীর মর্যাদা, ইজ্জ্বত -সম্মান আর জনপ্রিয়তা বাড়বে বৈ কমবে না, ইনশাআল্লাহ৷
গত ২৯ নভেম্বর পাবনা জেলার চাটমোহর এলাকায় মাহফিল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী বয়ান না করায় চাটমোহর বাসী মাওলানা সিদ্দিকী সাহেবের সাথে যে বেআদবীমূলক আচরণ করেছে, তা কোনভাবেই সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না৷ওরা ইতর শ্রেণির লোক৷
আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের এহেন ন্যাক্কারজনক ঘঠনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই৷পাবনার সচেতন ওলামায়ে কেরামের উচিত মাহফিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷
বড় দুঃখজনক বিষয় হলো, কিছু অনলাইন মিডিয়া মূল ঘটনা না জেনে কোন রকম যাচাই ছাড়াই এক পক্ষের কথা কে উদ্যোশ্যপ্রনোদিত ভাবে প্রচার করেছে।আর ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো কিছু পাগল প্রভৃতির ফেসবুকার তাদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর নিয়েছে৷
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়৷ব্যক্তি হিসেবে মাওলানা সিদ্দিকীর ভুল থাকতেই পারে৷ভুলগুলো ধরিয়ে দিন; দেখুন তিনি শোধরে কিনা (?)স্রেফ অনলাইনে অফলাইনে তার বিরুধিতা করলে তো কখনো ভুলের সংশোধন হবে না৷তাঁর সকল ওয়াজের অডিও-ভিডিও রয়েছে৷তিনি কুরআন -সুন্নাহ বিরোধী কিংবা কুরআন সুন্নাহর কোন মনগড়া ব্যখ্যা দেন না৷শীর্ষ উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই৷তিনি কওমির সন্তান, দারুল উলুম দেওবন্দের মতাদর্শী৷অযথাই তাঁর বিরোধীতা করে কি লাভ বলুন (?)
এক সময় দেশের মানুষ ভন্ড, বিদআতী তোফাজ্জ্বল হক ভৈরবীর ঈমান বিধ্বংসী বয়ান শুনতো৷আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমানে বাংলাদেশের সব জায়গায় মানুষ মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকীর বয়ান শুনে৷অনেক যুবক গানের পরিবর্তে তাঁর ওয়াজ শ্রবণ করে৷বাজারে মার্কেটে, চলার পথে যানবাহনে মাওলানা সিদ্দিকীর ওয়াজের কেসেট চলে৷বিদআতী ভৈরবী, কাদেরীদের ঈমান আকিদা বিধ্বংসী বয়ান থেকে কওমির সন্তান মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকীর বয়ান কি শতগুণে ভাল নয়?? এরপরও কেন বিরোধিতা??
আপনার বয়ান মানুষ তেমন শুনে না৷আপনার তেমন জনপ্রিয়তাও নেই তাই বলে কি আরেকজনের জনপ্রিয়তা দেখে আপনি হিংসার আগুনে জ্বলে পুরে ছাই হবেন?
সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তা বেশি এটাই কি তাঁর দোষ?
প্রিয় বন্ধু! আসুন মন মানসিকতা উদার করি৷ হিংসাত্বক কার্যকলাপ ছেড়ে দিয়ে আলেম হিসেবে একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হই৷তাহলেই আমাদের মাধ্যমে উম্মত সঠিক পথ খোঁজে পাবে,ইনশাআল্লাহ৷
লেখক: জুনাইদ আহমদ নেত্রকোণা
শিক্ষার্থী,তাকমিলুল হাদীস৷
দারুল উলুম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম৷