অরিত্রীর বোন ভিকারুননিসা ছেড়ে অন্য স্কুলে
একুশে জার্নাল
জানুয়ারি ২২ ২০১৯, ০৯:৪৯

অরিত্রীর ছোট বোন ঐন্দ্রিলা ভিকারুননিসা ছেড়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। সোমবার (২১ জানুয়ারি) অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বিষয়টি জানান।
অরিত্রী অধিকারী গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করে।
দিলীপ অধিকারী বলেন, ‘গত ৯ ডিসেম্বর অন্য স্কুলে (নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়নি) ছোট মেয়ে ঐন্দ্রিলাকে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কাছে একটি আবেদন করি। রবিবার (২০ জানুয়ারি) বোর্ডের পক্ষ থেকে ফোন দিয়ে ভর্তির বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছি। আমি গণমাধ্যমকে কৃতজ্ঞতা জানাই তারা আমার পাশে এভাবে ছিল।’
ঐন্দ্রিলার বাবা দিলীপ অধিকারী বলেন, ‘আমার মেয়ে সেখানে (ভিকারুননিসা) যেতে চাচ্ছে না। অরিত্রী এবং ঐন্দ্রিলা একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করতো। কিন্তু এখন সেখানে যেতে আর তার ভালো লাগছে না। আবার অনেকে নানা ধরনের কথা জিজ্ঞেস করে। তাই সবদিক বিবেচনা করে অষ্টম শ্রেণিতে ভিকারুননিসায় ভর্তি না করানোর সিদ্ধান্ত নেই।’
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কাছে করা আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রভাতী শাখায় আমার দুই মেয়ে পড়তো। দু’জনের মধ্যে আমার বড় মেয়ে অরিত্রী অধিকারী নবম শ্রেণিতে ছিল। ছোট মেয়ে ঐন্দ্রিলা অধিকারী সপ্তম শ্রেণিতে। আমার মেয়ে অরিত্রী অধিকারী স্কুল কর্তৃপক্ষের অপেশাদার আচরণ ও আমার সঙ্গে অমানবিক ও শিষ্টাচারবহির্ভূত ব্যবহারের কারণে মানসিক চাপে গত ৩ ডিসেম্বর আত্মহননের পথ বেছে নেয়। মিডিয়ার মাধ্যমে আপনারা তা অবহিত হয়েছেন। এছাড়া সরকার কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণের বিষয়টিও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। এই অবস্থায় আমার ছোট মেয়েটি ভিকারুননিসা স্কুলে পড়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। সর্বোপরি তার চোখে একমাত্র বোনের অন্তর্ধানের হৃদয়বিদারক চিত্র ভেসে ওঠে। এর প্রেক্ষিতে তাকে মানসিক এই ট্রমা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য স্কুল পরিবর্তনের আবশ্যিকতা দেখা দেয়। এছাড়া তার মানসিক অবস্থা এতই খারাপ যে, ভিকারুন্নেসা নূন স্কুলে সে পড়বে না বলে বারবার আমাকে ও পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে অনুরোধ করে।