অতঃপর – বনশ্রী বড়ুয়া
একুশে জার্নাল ডটকম
মে ২৪ ২০১৯, ১৭:২৯
অপরাজিতা প্রতিবাদী,নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অবিচল,প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।বাল্যবিবাহ,যৌননিপীড়ন,ভ্রুণ হত্যার প্রতিবাদে ছুটে বেড়াতো শহরময়।
বাড়ীর চৌদ্দ বছর বয়সী কাজের মেয়েটাকে মাতৃস্নেহে বড় করেছিল মা।।বড় আদরের ছিল অপরাজিতার কাছে।।শেষযাত্রায় মাকে কথা দিয়েছিল দেখে রাখবে মেয়েটাকে….
লেবাররুমে মেয়েটির আর্তচিৎকার!
ভেসে যায় রক্তধারা!
অতঃপর একটি ভ্রুণ হত্যা….
পরিবারের সম্মান,বংশমর্যাদা আর পিশাচরুপী পিতাকে বাঁচাতে অপরাজিতা হেরে যায়,তাকে হেরে যেতে হয়।
অপরাজিতা নির্বিকার,ভারসাম্যহীন…
পাড়ার গলিতে গুটিসুটি মেরে বসে থাকা সেই প্রতিবাদী মেয়েটিকে সবাই পাগলি বলে….
রাত গভীর হলেই পাড়ার সবাই কান্নার শব্দ শুনতে পায়, হাউমাউ করে কাঁদে অপরাজিতা..
ময়লার বালতিতে পড়ে থাকা ছোট্ট একটা মাংসের দলা রোজ রাতে অপরাজিতাকে বলে,আমাকে বাঁচতে দাও…আমি পৃথিবীর আলো দেখতে চাই….
লেবাররুমে রক্তে ভেসে যাওয়া মেয়েটা বলে,দিদি–আমার সম্ভ্রম বাচাঁও…আমাকে বাঁচাও…
কাক ডাকা ভোরে সূর্যের প্রখরতায় পাগলীটার হাতের রক্তমাখা দা’টা ঝকমক করছে,আনন্দোৎসব আর উল্লাসে মেতেছে…
প্রতিবাদী অপরাজিতা যা করতে পারেনি, পাগলী অপরাজিতা ঠিক পেরেছে পিশাচকে এক কোপে দ্বিখন্ডিত করতে…
পিতাকে নয় আজ এক নরপিশাচের বলী দিল অপরাজিতা।