ভালো থাকার তাবিজ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ০১ ২০১৯, ১৪:৩৯

রশীদ জামীল ::

তিনি: মাওলানা ফজলুর রহমানের আজাদী মার্চকে আপনি কোন চোখে দেখছেন?
আমি: আমি দুই চোখ দিয়েই দেখছি।
তিনি: না, মানে কীভাবে দেখছেন?
আমি: টেলিভিশনে, অনলাইনে, পত্রিকায়।
তিনি: আসলে জানতে চাইছি তাঁর এই আন্দোলনকে আপনি সমর্থন করেন কী না?
আমি: তার আগে আপনি আমাকে বলুন, আমার সমর্থন করা না-করায় তাঁর বা আমার; কার লাভ কী?
তিনি: সবকিছু লাভ-লোকসান দিয়ে হিসাব করলে চলে? কিছু কাজ তো নৈতিকতার দায় থেকেও করতে হয়।
আমি: খুঁজছি। নাগাল পেলে করব।
তিনি: কাকে খুঁজছেন?
আমি: নৈতিকতাকে।

তিনি টার্গেট চ্যাঞ্জ করলেন। বললেন, ইমরান খানের জাতিসংঘ ভাষণ নিয়েও তো কিছু বললেন না!
আমি: বলার কথা ছিল?
তিনি: সবাই তো বলল।
আমি: সবাই বললে আর সবাইকে বলার দরকার কী?
তিনি: কী মনেহয় আপনার? ইমরান লাইনে আছেন?
আমি: লাইনটা কী?

তিনি আবারো লাইন চ্যাঞ্জ করে ফেললেন। বুঝতে পারলেন এই লাইনে এগিয়েও লাভ নেই। বললেন,
-তাকী উসমানী কী বলতে চান?
আমি: তিনি কী বলতে চান, সেটা আমি কী করে বলব?
তিনি: না, মানে আজাদী মার্চ ইস্যুতে তিনি কী বলতে চান সেটাই জানতে চাইছি?
আমি: সেটা তো তাকে জিজ্ঞেস করবেন। তাছাড়া তিনি টুইটারে খুবই অ্যাকটিভ। ফলো করুন। জানতে পারবেন।
তিনি: দেখলাম রফি উসমানিও তাঁর সাথে আছেন।
আমি: হ্যাঁ, আমিও তাই দেখলাম।
তিনি: আপনার মন্তব্য?
আমি: গন্তব্যের মতো।
তিনি: গন্তব্য কোথায়?
আমি: নোবডি নৌজ।

তিনি এবার পাকিস্তান থেকে ভারত চলে গেলেন। বললেন, কাশমির ইস্যুতে মাহমুদ মাদানির বক্তব্য শুনেছেন?
আমি: শুনেছি।
তিনি: কেমন লাগল?
আমি: আগের মতো।
তিনি: আগে কেমন ছিল?
আমি: এখন যেমন।
তিনি: আর আরশাদ মাদানি?
আমি: আরশাদ মাদানি হলেন মাহমুদ মাদানির আপন চাচা।
তিনি: আমি তাঁর অবস্থান জানতে চাইছি।
আমি: তাঁর অবস্থান দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।

ভদ্রলোক যুত করতে পারছেন না। ইন্ডিয়া পাকিস্তান ছেড়ে এবার দেশে ফিরলেন। বললেন, ভোলার ব্যাপারেও তো নীরব থাকলেন।
আমি: যারা সরব হলেন তাদের কী অবস্থা?
তিনি: তাঁরাও নীরব হয়ে গেছেন।
আমি: তাহলে লাইনেই আছি।
তিনি: এভাবে কতদিন?
আমি: যতদিন আমরা চাইব।
তিনি: এগুলো কি আমরা চাই?
আমি: কিছুটা তো চাই-ই।
তিনি: বুঝলাম না। একটু খোলাসা করবেন?
আমি: না।
তিনি: না কেন?
আমি: কারণ, সতর ঢাকা ফরজ।

ভদ্রলেক পুরাই হতাশ। বললেন, ইদানীং ফেইসবুকে কম লিখছেন, কারণ কী? বললাম, যখন ফেইসবুক ছিল না, তখনও লেখা হতো। কখনো ফেইসবুক না থাকলে তখনও হবে।

তিনি বললেন, ব্যাপার কী! আজ শুধুই পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন?
বললাম, যার কাজ তারই সাজে, অন্যে করলে ঝামেলা বাজে।

তিনি বললেন, আচ্ছা ভালো থাকবেন।
বললাম, সেই চেষ্টাই করছি।