কাতারে ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগের বাছাই পরীক্ষা ২৯ নভেম্বর

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ২১ ২০১৯, ১৫:৪৪

মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ ছোট একটি দেশ কাতার। দেশটিতে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মসজিদ। অধিকাংশ মসজিদেই বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন করে আরও ইমাম ও মুয়াজ্জিন নেবে কাতার।

গত অক্টোবরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। দীর্ঘদিন এ কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হতে যাচ্ছে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ইমাম, সহকারী ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগ পরীক্ষা।

ইমাম, সহকারী ইমাম ও মুয়াজ্জিন হিসেবে কাতার যেতে ইচ্ছুক আগ্রহীরা আগামী ২২ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষায় নিবন্ধন করতে পারবেন।

মুহাম্মদপুর কবরস্থান মসজিদ কার্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষার বাছাই প্রক্রিয়া আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন যারা
আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত আলেম বা ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র/প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে।
আবেনদকারীর বয়স সর্বনিম্ন ২০ এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর।
প্রত্যেক আবেদনকারীকেই কুরআনে হাফেজ হতে হবে। তাদবিদের সঙ্গে সুকণ্ঠের তেলাওয়াতকারী হতে হবে। তেলাওয়াতে দক্ষণ হতে হবে।
জামেয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিপ্রাপ্তরা অগ্রাধিকার পাবে।
আবেদনকারীর দুই কপি রঙিন ছবিসহ পাসপোর্ট, জন্মসনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
উল্লেখিত কাগজপত্র জমা সাপেক্ষে আবেদনকারীর মৌখিক ইন্টারভিউ নেয়া হবে।
মৌখিক ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণরাই চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য জীবনবৃত্তান্ত ও স্বাস্থ্য সনদ জমা দিতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার সনদ থাকলেও তা জমা দেয়া যাবে। তবে তা জরুরি নয়।

কুরআন তেলাওয়াত (হেফঝ), আজান ও ইকামাতের ক্ষেত্রে মক্কা ও মদিনার আজান অনুসরণ করা।
কুরআনুল কারিমের উচ্চারণ তাজবিদ ও সুন্দর কণ্ঠে তেলাওয়াত করার সর্বাধিক চেষ্টা করা।
সঠিক লাহানে পুরো (৩০ পারা) কুরআন শরিফ ইয়াদ থাকা।
গলা ছেড়ে উচ্চ আওয়াজে তেলাওয়াত করা।
কুরআনের ইয়াদ, তাজবিদ ও লাহানের প্রতি বিশেষ খেলায় দেয়া।

নিবন্ধন শুরু হবে ২২ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর।

বাছাই ও নির্বাচন ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর।
২৮ নভেম্বরের পর নতুন করে কোনো রেজিস্ট্রেশন হবে না।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২০০ ইমাম, সহকারী ইমাম কাতারে নিয়োগ দেয়া হবে। এ জন্যই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশেষ কারণে সে প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। অবশেষে ২২ নভেম্বর থেকে রেজিস্ট্রেশনের পর ২৯ নভেম্বর থেকে বাছাই ও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।