কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার দেড় কোটি টাকা সংগ্রহ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২৬ ২০১৯, ২০:২০

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস পর রেকর্ড পরিমাণ ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪, ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। এটিই পাগলা মসজিদ থেকে এ যাবতকালে এক সাথে পাওয়া সর্বাধিক পরিমাণ টাকা। এ আগে এ মসজিদের দান বাক্স থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি ১৭ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

জানা যায়, শনিবার (২৬ অক্টোবর ২০১৯) সকাল ৯ টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়। পরে এগুলো মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ। টাকা গণনায় মসজিদ মাদরাসার ৬০ জন ছাত্রশিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। দিনভর টাকা গণনার পর সন্ধ্যার দিকে দানবাক্সে পাওয়া সব টাকার হিসেব পাওয়া যায়।

টাকা গণনার পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, মসজিদের সিন্দুক থেকে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো বান্ডেল করে পুলিশ প্রহরায় স্থানীয় রুপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসেবে জমা করা হয়েছে।

গত ১৩ জুলাই পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গেছে। সেই সাথে আছে বৈদেশিক মুদ্রাসহ বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার। এর আগে গত ১৩ই এপ্রিল দানকাক্স খোলার পর এক কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ২শ’ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

তিন মাস পর পর এ মসজিদের দানসিন্দুক খোলা হয়। এ মসজিদের ইবাদত করলে মানুষের মনের আশা পূর্ণ হয়। এ বিশ্বাস থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ এ মসজিদের ৮টি বড় লোহার দানবাক্সে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিদেশি মুদ্রাসহ অন্যান্য জিনিস দান করেন।

এ ছাড়াও মোমবাতি, ইসলামিক গ্রন্থ, গরু, ছাগল, মুরগি, চাল- পালসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি দান করেন অনেকে। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ মসজিদটি পরিচালিত হয়ে আসছে। মসজিদের আয় থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ- মাদরাসা, এতিমখানা পরিচালনাসহ অসুস্থ্য এবং অসহায় মানুষকে এ মসজিদের আয় থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়ে থাকে।

টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল, নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ।