মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন পারভেজ মোশাররফ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ১৭ ২০১৯, ১৬:২৭

পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন ইসলামবাদের বিশেষ আদালত। কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম।

এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, আমি ভুক্তভোগী (ভিকটিমাইজ) হয়েছি। আদালতের প্রতি আস্থাহীনতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, রায় এখনও পুরোপুরি শুনিনি। তবে আমি যে ন্যায়বিচার পাব না, সেটি আগে থেকেই জানতাম।

পাকিস্তানের আদালত যখন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে, তখন হাসপাতালের বিছানায় পারভেজ মোশাররফ। সেখান থেকে এক ভিডিওবার্তায় মোশাররফ বলেন, এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা একেবারেই ভিত্তিহীন।

‘আমি ১০ বছর পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি আমার দেশের জন্য লড়েছি। রাষ্ট্রদ্রোহের যে মামলা আমার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে তাতে আমি ভুক্তভোগী। আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।

ভিডিওতে পারভেজ মোশাররফের অসুস্থতা ও সবশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়টিও ওঠে আসে। তিনি যে শারীরিকভাবে খুবই নাজুক অবস্থায় আছে, সেটি সহজেই বোঝা যায় ভিডিওতে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সামরিকপ্রধান পারভেজ মোশাররফ এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দু্বাইয়ে অবস্থান করছেন। সাবেক সামরিক এই স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। মামলাটি ২০১৩ সাল থেকে চলে আসছে।

২০১৪ সালের ৩১ মার্চ মোশাররফকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিশেষ আদালতের কাছে বিচারের জন্য সব তথ্য প্রমণ পেশ করা হয়। তবে আপিল ফোরামে মামলাটি তোলার পর বিচারকাজ দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ে এবং মোশাররফ ২০১৬ সালের মার্চে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যান। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে দেশছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, জেনারেল পারভেজ মোশাররফ সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দোর্দণ্ড এই প্রতাপশালী শাসক টানা ১০ বছর পাকিস্তান শাসন করেন। তার শাসনকাল নিয়ে নানা সমালোচনাও রয়েছে।