বালাগঞ্জে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, ভ্রাম্যমান কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ১৯ ২০১৯, ২০:৩৯

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি : দেশব্যাপী শৈত্যপ্রবাহের কারণে বালাগঞ্জের স্বল্পপমূল্যের কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়।
গত কয়েকদিন ধরে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বিকেল হতেই কুয়াশার চাদরে ছেয়ে যায় উপজেলার পুরো জায়গা।
দিনের বেশিভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি কমে যাওয়ায় রাত ও সকালবেলা শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে, সাথে বাতাসও।
তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেয়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
এদিকে কুয়াশায় আচ্ছন্ন ও শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। শীত নিবারণের জন্য নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে বালাগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানে । নিম্নবিত্ত নারী, পুরুষ ও তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করে তাদের মাঝে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন এইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

বাজারে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন নানা শ্রেণি-পেশার ক্রেতারা। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন গরম পোশাক কিনছেন সবাই। উচ্চ আয়ের লোকেরা বিভিন্ন নামি-দামি মার্কেট থেকে গরম কাপড় কিনতে পারলেও গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা বাজারের ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে বিক্রি করা শীতের কাপড়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালাগঞ্জ বাজারের ভ্রাম্যমাণ দোকানে নানা রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি কছেন ব্যবসায়ীরা। একাধিক বিক্রেতা জানান, খুব কম দামে ক্রেতাদের সামর্থ্য মতো বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড় পাওয়া যায়। প্রতিদিনই প্রায় শত শত নিম্নবিত্ত মানুষ শীতের কাপড় কিনতে বেছে নেই এই কম দামের দোকানগুলো। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে। এখানকার বেশিভাগ ব্যবসায়ীরা শুধু শীতের মৌসুমে কাপড় কেনাবেচা করে থাকেন। বছরের অন্যান্য সময় এখানে দোকান না থাকলেও শীতকে কেন্দ্র করে এখানকার ব্যবসা জমজমাট হয়। এসময় বিক্রেতারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।

একাধিক ক্রেতা জানান, শীত থেকে বাঁচতে এসব দোকান থেকেগ পরিবারের সবার জন্য অনেক কম দামে ভালো শীতের পোশাক কিনতে পারছেন। যা দিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের শীত নিবারণের ব্যবস্থা করতে পারি।