৪০ বছর আগে বোরকা পরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছি: বিজেপি এমপি রূপা গাঙ্গুলী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ১৪ ২০১৯, ১৭:৫৮

চল্লিশ বছর আগে বোরকা পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন রূপা গাঙ্গুলী। আজ তিনি দেশটির সংসদ সদস্য। পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী। কিন্তু এতে সমস্যা কী? আসলে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে তার একটি মন্তব্য নিয়ে। আর সেই মন্তব্য এখন ভারতে ঝড় তুলেছে।

সম্প্রতি লোকসভার পর রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাস। এই বিল পাস হওয়ার পর রূপা গাঙ্গুলী টুইট করেন।

এই সংসদ সদস্য লেখেন, ‘আমি তো খান টাইগারের বেগম হয়ে যাচ্ছিলাম। আমাকে অপহরণ করতে এসেছিল। সে রাতে যদি আমি এবং আমার মা বোরকা পরে দিনাজপুর থেকে পালাতে না পারতাম। তবে আজ বিজেপির এমপি হতে পারতাম না।’

রূপা গাঙ্গুলী আরো বলেন, ‘ভারত আমাদের জায়গা না দিলে আমরা কোথায় যাব? আমরা কতবার গৃহহীন থাকব? আমার বাবা তার দেশে, কখনও নারায়ণগঞ্জে, কখনও ঢাকা, কখনও বা দিনাজপুরে থাকেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ এর জন্য ধন্যবাদ। অমিত শাহ আপনাকে কী বলতে হবে? কত মানুষ আপনাকে এবং নরেন্দ্র মোদীকে আশীর্বাদ করেছে।’

একই সঙ্গে বিজেপির এই সংসদ সদস্য পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘এখন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের আওতায় তাকে কি শরণার্থী ধরা হবে? তাকে কি এখন নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে?’

রূপার এমন টুইটের পরপরই ভারতে শুরু হয় নতুন বিতর্ক। একজন অনুপ্রবেশকারীকে কিভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে বিজেপি সে প্রশ্নে এখন ভারত জুড়ে।

বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রূপা গাঙ্গুলী নিজেই বলছেন, উনি বোরকা পরে এসেছেন। সে ক্ষেত্রে তো উনি নাগরিক নন। একজন অনুপ্রবেশকারী! তা হলে বিজেপি তাকে এমপি করল কী করে?’

এর জবাবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রূপা শরণার্থী হয়ে থাকলে আবেদন করে ভারতের নাগরিক হতে পারবেন। আর এর আগে শরণার্থী অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অনেক রাজ্য থেকেই বেশ কয়েকজন এমপি হয়েছেন। এ নিয়ে জল ঘোলা করার কিছু নেই।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন রূপা গাঙ্গুলী। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবিতে কপিলা চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।