সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ ৩ দিনের রিমান্ডে

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ১৪ ২০১৯, ১৭:১৩

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ আখ্যায়িত করে সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের মামলায় দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক গোলাম আজম মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এর আগে এদিনই আবুল আসাদকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় এ মামলা (মামলা নং-২৪) করেন।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একদল নেতা-কর্মী শুক্রবার সন্ধ্যায় সংগ্রাম কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় একদল যুবক পত্রিকাটির কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করেন। ওই সময় যুবকেরা সম্পাদক আবুল আসাদের কক্ষে গিয়ে তাকে নাজেহাল করে বারবার ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে সম্পাদককে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার সংগ্রাম পত্রিকার প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর প্রতিবাদে পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ করা এবং সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেপ্তার ও তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার গতকাল বলেন, ‘আমরা দুটি কারণে সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদককে নিয়ে এসেছি। প্রথম কারণ হলো নিরাপত্তা। দ্বিতীয়টি হলো ওনাকে কিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদের দরকার।’

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সংগ্রাম অফিসের ভেতরে জামায়াত ও শিবির পরিচালনার নানা কাগজ পেয়েছি। এসব দেখে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পত্রিকার সম্পাদককে আমরা পুলিশে দিয়েছি।’