ইজতেমায় হেলিকপ্টার-ড্রোন-স্পিড বোটসহ বহুমাত্রিক নিরাপত্তা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০৯ ২০২০, ২১:১৩

বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং স্পিড বোটসহ তিন স্তরের বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই। হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। ইজতেমা এলাকায় জঙ্গি-সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে অবস্থিত র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমদ এ সব কথা বলেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোশাকধারী র‌্যাব সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। বিশ্ব ইজতেমার ময়দানকে দু’টি সেক্টরে ভাগ করে কার-মোটরসাইকেল-বোট পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি আকাশ থেকে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। যে কোনো ধরনের আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের ফোর্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।

বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে র‌্যাব ডিজি বলেন, ইজতেমায় ২৭টি দেশের বিদেশি নাগরিকসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জমায়েত হবেন। আমরা ইতিমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারির কাজ শুরু করেছি। দুই ধাপে ইজতেমার ময়দানে তিনদিন করে আমাদের ডেপ্লয়মেন্ট থাকবে। এ ছাড়া গাড়ি-বাইক পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি তুরাগ নদে স্পিডবোটের মাধ্যমে বোট পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

ময়দানের অভ্যন্তরে পোশাকধারী র‌্যাব সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকের সদস্য মোতায়েন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সুইপিং টিম ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে।

তিনি বলেন, পুরো ইজতেমা ময়দান সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং ও রেকর্ডিং করা হবে। ইজতেমার বাইরের সড়কে বিশেষ পোস্ট স্থাপন করে ইজতেমায় আগত মুসল্লি ও যানবাহন তল্লাশি করা হবে। ইজতেমার দু’পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক রেখে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে আমরা সতর্ক রয়েছি। অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বক্ষণিক তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। কোথাও ঝুঁকি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং বিষয়ের‌্যাব ডিজি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো গুজব যাতে না ছড়ানো হয়, সে জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হচ্ছে। ফেক এবং গুজব নিউজের কারণে অনেক সময় বড় বিপদ চলে আসতে পারে। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে। যাচাই না করে কোনো নিউজ শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্ট্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ১০-১২ এবং ১৭-১৯ তারিখ পর্যন্ত দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রাক-গোয়েন্দা নজরদারি, ইজতেমার সময় ফুল ডেপ্লয়মেন্ট এবং শেষেও মুসল্লিরা স্থান ত্যাগ পর্যন্ত আমাদের ‘কভার্ড অ্যান্ড ওভার্ড’ ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

তিনি বলেন, ১০টি অবজারভেশন পোস্ট থেকে পুরো এলাকায় নজরদারি থাকবে। কার-বাইক পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি তুরাগ নদে বোট পেট্রোলিং থাকবে। ইজতেমার মাঠে ২০টি প্রবেশপথে আর্চওয়ের মাধ্যমে প্রত্যেককে তল্লাশি করা হবে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে মহাখালী থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত দু’টি বাস সার্ভিস থাকবে র‌্যাবের। ইজতেমা মাঠে দু’জন চিকিৎসকসহ চিকিৎসাকেন্দ্র থাকবে।