কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে দরিদ্র মানুষজন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ১০ ২০২০, ১৭:০০

রোকন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

হিমালয়ের নিকটবর্ত্তী উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের তীব্রতা । এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত ঠান্ডা হিমেল হাওয়া আর কুয়াশায় মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছে।

জেলার উলিপুর উপজেলায় দুপুর দুইটা ত্রিশ মিনিটের পর দেখা মিলে সূর্যের।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত চার দিন ধরে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন আবহাওয়া ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের আলোর দেখা মিলছে না।

আজ বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। সেই সাথে বইছে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া। এই ঠান্ডা বাতাসে বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলবাসীসহ খেটে খাওয়া মানুষজন।অর্থাভাবে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করতে না পেরে শিশু, নারী ও বয়স্ক মানুষরা চরম কষ্টে পড়েছেন।বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। ঠান্ডায় মানুষজনকে সহ্য করতে হচ্ছে নিদারুণ কষ্ট। শীত নিবারণে তাদেরকে খড়কুটোয় আগুন জ্বালাতে হচ্ছে। এসব এলাকায় অধিকাংশ মানুষেরই শীত নিবারণে গরম বস্ত্র, অর্থাৎ চাদর কিংবা কম্বল নেই। এগুলো কেনার সামর্থ্যও তাদের নেই। ফলে তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি সহায়তার দিকে।

উলিপুরের গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা রাহেন আলী বলেন,”বাহে এইদ্যান শীতে কাম কাজ করা দুষ্কর। এই ঠান্ডায় কষ্ট করি ধানের কামকাজ করছি।ছাওয়া পোয়াক (ছেলে মেয়েদের) ঠান্ডার কাপড় কিনি দেওয়া লাগে।কি যে করি।হামরা দিন আনি দিন খাই। এমন হলে চলবো কেমনে।”

চলতি বছর কুড়িগ্রাম দেড় মাস স্থায়ী ৫ দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।কৃষকদের ব্যাপক ফসলহানি হয়েছে। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র তীরবর্ত্তী মানুষজন।
গত কয়েকদিন ধরে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত।