ইজতেমার প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলেমদের মতবিনিময়

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০২ ২০২০, ২১:০৪

তাবলিগ জামাতের চলমান সঙ্কট ও এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলেম ও তাবলিগের মুরুব্বীদের মতবিনিময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে তাবলিগের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তাবলিগ জামাত প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং তাবলিগ জামাতে চলমান সঙ্কট, সঙ্কটের কারণ এবং এত্থেকে উত্তরণের পথ ও পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বার্ডস আই রুফটপ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভায় তাবলিগ জামাতের কয়েকজন শীর্ষ মুরব্বি এবং জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশনের প্রায় ৩০ জন রিপোর্টার অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে তাবলিগ জামাতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুফতি মাহফুজুল হক, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মাওলানা আমানুল হক, ক্যাপ্টেন ইফখোর আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান।

বৈঠকে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতে যে মতবিরোধ সেটা নেতৃত্বের কোনো বিরোধ নয়, আদর্শিক কারণে বিরোধ বলে জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিরা।

মুরব্বিরা বলেছেন, মাওলানা সাদের ভ্রান্ত মতাদর্শের কারণেই মূলত আলেমরা তার বিরোধিতা করছেন। শুধু বাংলাদেশের আলেমরা নন, সারা বিশ্বের আলেমরাই তার বিরোধিতা করেছেন। খোদ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকেই প্রথম সাদবিরোধিতা শুরু হয়। পরে দারুল উলুম দেওবন্দও এ ব্যাপারে ফতোয়া দেন। সেই ফতোয়ার ভিত্তিতেই বাংলাদেশের আলেমরা সাদ সাহেবের ভ্রান্ত মতাদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

মুরব্বিরা আরও জানান, তাবলিগের সংকটের মূলে রয়েছে, যৌথ নেতৃত্ব তথা পরামর্শভিত্তিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে একক নেতৃত্বে কাজ চালানো, মাওলানা সাদের কোরআন-হাদিসবিরোধী মনগড়া নানা মন্তব্যে অনঢ় থাকা এবং পূর্ববতী তিন হজরতজির উসুল ও কর্মপন্থা থেকে সরে যাওয়া। একজন মাওলানা সাদের সঙ্গে বিশ্বের অন্য মুরুব্বিদের মতবিরোধ নেতৃত্ব নিয়ে নয়, আদর্শিক কারণে।

মুরব্বিরা বলেন, বাংলাদেশে অনেকে তাবলিগের সংকটকে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন, এটাও ভুল। কারণ, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাবলিগ পরিচালিত হচ্ছে যৌথ নেতৃত্ব তথা শুরার মাধ্যমে। এখানে একক কেউ নেই।

তাবলিগের মুরব্বিরা জানান, এবার তাবলিগ জামাতের ইজতেমা এক পর্বেই হচ্ছে। আর সেটা ১০ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। পরের সপ্তাহে মাওলানা সাদের অনুসারীরা ইজতেমা করলেও সেটাকে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব বলতে নারাজ বিরোধী পক্ষের মুরব্বিরা।