৫২ এর আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেতনা এখনও সকল সংগ্রামের চালিকা শক্তি -রুহুল কবির রিজভী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ফেব্রুয়ারি ২৪ ২০২১, ০৬:৫৩

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জনাব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৯৪৬ সালে দ্বিজাতী তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত জাতীর সংখ্যার দিক থেকে বাঙ্গালী অধিক হলেও শুরুতেই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে দাবিয়ে রাখার একটা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়। কিন্তু আধিপত্যবাদীদের সেই ষড়যন্ত্র বাঙ্গালী জাতী সাহসীকতার সাথে রুখে দেয়। আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ৫২ এর সেই চেতনাই পরবর্তীতে শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এবং সর্বোপরি ৭১ এ দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মাধ্যমে বাংলাদেশকে মুক্ত স্বাধীন করতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের উদ্যোগে ৫২ তে বাংলা ভাষা কে রাষ্ট্রিয় ভাষার মর্যাদা দেয়ার আন্দোলনের ভাষা শহিদ এবং ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারী BDR এর তথাকথিত বিদ্রোহে দেশপ্রেমিক শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বরণে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে জনাব রিজভী উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন। লায়ন আনোয়ার হুসেন উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোয়ালেহীন করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ওয়াহিদুন্নবী। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় সংসদের যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা সাইস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা কাজী শামীম আহসান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এমদাদ হুসেন টিপু, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, যুক্তরাজ্য মহিলা দলের সদস্য সচিব অঞ্জনা আলম, যুক্তরাজ্য ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন সেলিম, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লায়েক মোস্তফা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম।

জনাব রুহুল কবির রিজভী উনার বক্তব্যে আরো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাক এটা নব্য ঔপনিবেশিক শক্তি ও তাদের এই দেশীয় দোসরা চায় নি। ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারী তৎকালীন বিডিআর এ সংগঠিত তথাকথিত বিদ্রোহে নৃশংস ভাবে দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ড সেই ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। সেনাবাহিনীকে দূর্বল করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির সম্মুখিন করাই ছিলো এর মূখ্য উদ্দেশ্য। ভাষা আন্দোলন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, মাফিয়া শাসন এবং আজকের গণতন্ত্র হত্যা এর সবই একই সূত্রে গাঁথা।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর রুকেয়া সুলতানা তামান্না, চট্টগ্রাম বিএনপির কবি আল সিরাজী, চটগ্রাম মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক আঁখি সুলতানা, ইতালী মহিলাদলের ফাহমিদা আক্তার মুকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের ইয়াসির আরাফত, এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল গফফার গুটলু, বার্ণলি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়জুন নূর, যুক্তরাজ্য বিএনপির রাহেল আহমেদ, সর্ব ইউরোপীয় সাবেক ছাত্রদলের আবু জাফর রাসেল, যুক্তরাজ্য যুবদলের আসাব আলী, দারা মিয়া, আব্দুল মুমিন চৌধুরী, শিব্বির আহমেদ সুমন, আব্দুর রহমান, আবিদুল ইসলাম আরজু, জাহাঙ্গির আলম, কিবরিয়া ইসলাম, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী সামাদ, আমিনুল ইসলাম, জাকির হুসেন, নুরুল হক, মিলাদ আহমেদ রুবেল, সালেহ আহমেদ, কামরুজ্জামান কয়েস, মালয়েশিয়া যুবদলের কদর শিকদার, মহিলাদলের সুমাইয়া আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তরিকুল ইসলাম, ফ্রান্স যুবদলের সুমন আনসারী, যুক্তরাজ্য থেকে রাজু কর্মকার, ফয়সল আহমেদ, সৈয়দ জামিল আহমেদ, মাহফুজুল ইসলাম, জলিল আহমেদ, রাজীব আহমেদ, মোশাররফ হুসেন, কবির সাজ্জদুল, মুজাহিদ উদ্দিন প্রমুখ।