৫ম স্বামীর ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও সিলেটের পরকিয়াবাজ হালিমা!

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

আগস্ট ২১ ২০২১, ০৭:৩৪

সিলেট নগরীর কাজলশাহ ৯৯ ই-ব্লক বাসিন্দা আব্দুল মুছব্বির এর মেয়ে হালিমা আক্তারের সাথে ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোঃ আখলু মিয়ার সাথে।

কিছুদিন মেসেঞ্জারে চ্যাট, এরপর মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান, আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়ে উঠে। এরপর ২৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মুসলিম শরীয়া মোতাবেক ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বিয়ে করার পর ৪/৫ মাস সংসার করেন আখলু মিয়া। এরপর জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে সিলেটের বাসায় রেখে বিলেতে চলে যান।

বিলেতে যাওয়ার বেশ কয়েকমাস তাদের যোগাযোগ ভালোই চলছিল। সেখানে যাওয়ার পর কয়েক মাসের মধ্যেই চালাকচতুর হালিমা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে স্বামীর সরলতার সুযোগে মন জয় করে তার কাছ থেকে একাধিক গাড়িসহ নগদ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করে নেন। এর পরপরই স্বামীর সাথে সব রকম যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেন।

যোগাযোগ বন্ধ করার ফলে আখলু মিয়া চিন্তায় পরে যান। আখলু মিয়া তার বাড়ী থেকে বাসায় লোক পাঠান। বাসায় গিয়ে হালিমার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাসার মালিক বলেছেন, সে বাসা পরিবর্তন করেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, হালিমার একাধিক বিয়ে হয়েছে। আখলু মিয়ার কাছে বিবাহ হওয়ার আগে আরও ৪ জনের সাথে বিবাহ হয় তার। স্বামী ছাড়াও সুন্দর সুদর্শন যুবকদের সাথে পরকিয়ায় জড়িত বলে আখলু অভিযোগ করেন।

প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু অশ্লীল ছবি ও অডিও রেকর্ড আসে প্রতিবেদকের কাছে। যা সংরক্ষিত আছে। আখলু মিয়াও হালিমার একাধিক অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ফুটেজ গোপন সূত্রে সংগ্রহ করে রেখেছেন।

হালিমার ১ম স্বামীর নাম রউজ উদ্দিন। সিলেট হাওয়া পাড়া, আমেরিকার প্রবাসী। তার এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলেকে স্বামীর কাছে রেখে পরকিয়া করে সিলেটের কোয়ার পাড়ের বাসিন্দা জুয়েল নামের এক যুবকের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন।

জুয়েলের সাথে বনিবনা না হওয়ায় ৩য় স্বামী আমেরিকা প্রবাসী বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের লক্ষি মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। এদের দুই মেয়েও রয়েছে। লক্ষি মিয়ার সংসার করেও রুবেল সাথে আবারও পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে আবারও বিয়ে বসে হালিমা।

এরপর ফেসবুকের মাধ্যমে লন্ডন প্রবাসী ৫ম স্বামী আখলু মিয়া (অভিযোগকারী)। সংসারে থাকাবস্থায় আবারও জগন্নাথপুর উপজেলার গোয়াল কুড়ি গ্রামের লাকো মিয়ার সাথে পরিকিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।

সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য উল্লিখিত ঠিকানায় গেলে এ ঠিকানায় তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন। এরপর থেকে হালিমার সবকয়টি নাম্বার বন্ধ রয়েছে।