মানবতার ডাকে ২১০ পরিবারকে ১ সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী দিলো ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০৩ ২০২০, ২২:১৬

জবি প্রতিনিধি: ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি এর পক্ষ থেকে আজ গরীব অসহায় মানুষদের জন্য ২১০ টি প্যাকেটে করে ২১০ টি পরিবারকে প্রায় এক (১) সপ্তাহের বাজার ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে দেয়া হয়।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ত্রাণ সামগ্রী বিতরণী কর্মসূচীটি ওয়ারি জোনের আততাধীন গেন্ডারিয়া থানা থেকে শুরু হয়। গেন্ডারিয়া থানা থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার হান্নানুল ইসলাম, ওসি (অপারেশন) মোঃ রাসেল হোসাইন ৩টি গাড়ি বহরে ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি এর সদস্যরা ও জবির স্বপ্নীল পরিবারের একদল শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ওয়ারী জোনের অধীনে গেন্ডারিয়া, সূত্রাপূর, জবি ক্যাম্পাস, রায়সাহেব বাজার, নবাবপুর, নারিন্দা, কাঠেরপুল, ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন এড়িয়া গুলোতে ঘুরে ঘুরে অসহায়, গরীব, দুস্ত মানুষের মাঝে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।

ত্রাণ সামগ্রীর দেয়া ২১০ টি প্যাকেটের প্রতিটিতে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি লবণ, ১ টি লাক্স সাবান, ১ টি হুইল সাবান ছিলো। ত্রাণ সামগ্রী প্রতিটি পরিবারের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব হান্নানুল ইসলাম স্যার, জবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমান গেন্ডারিয়া থানায় ওসি (অপারেশন) মোঃ রাসেল হোসাইন এবং ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি সংগঠনটির উদ্যোগক্তা ২৫ তম বিসিএস ক্যাডার জনাব মনিরুল ইসলাম মিলন। আরো ছিলেন সংগঠনটির অন্যান্য সদস্য জবির সাবেক শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন কাজল, জবির আরেক সাবেক শিক্ষার্থী প্রিতম ভৌমিক এবং উক্ত কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে ওয়ারী থানায় দায়িত্বরত এস.আই. নয়ন সাহা।

তাদের সাথে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জবির স্বপ্নীল পরিবারের ৪ জন সদস্য। তারা হলেন তন্ময় ১১ ব্যাচ, মুন্না ১১ ব্যাচ , কনিক ১২ ব্যাচ এবং মেহেদী ১২ ব্যাচ। প্যাকেজিং, বিতরণ, ডোনেশনেও ছিল স্বপ্নীল পরিবার।

ওয়ারী থানার এস. আই নয়ন সাহা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে এমন কাজে নিজেকে সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করতে পেরে সত্যিই খুব ভালো গাছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তাদের প্রতি যারা আজ এবং বিগত দিনগুলোতে এই মহৎ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সৃষ্টিকর্তা সকলের সহায় হোক।

জবির ১২ ব্যাচের স্বপ্নীল পরিবারের শিক্ষার্থী কনিক বলেন, ছোট বেলায় একটা কবিতা পড়েছিলাম,
“সবার সুখে হাসব আমি/ কাঁদব সবার দুঃখে/ নিজের খাবার বিলিয়ে দিব/ অনাহারীর মুখে” আমি মনে করি আজ আমাদের সেই সময় এসেছে এটি বাস্তবায়ন করার। সবাই একসাথে এগিয়ে আসলে আমরা অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারবো।