‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ : সবিনয় অনুরোধ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ৩০ ২০২২, ২০:৪০

মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী:  ‘হেফাজত’ নিয়ে বাজে মন্তব্য ও ট্রল করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন! সবসময় এটা মাথায় রাখুন– ‘হেফাজত’ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।
‘হেফাজত’ এ দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য যা করেছে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে শত সহস্র বছর।
‘হেফাজত’র আবির্ভাব যদি না হতো তাহলে এদেশের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো—তা সমাজচিন্তক ও বিজ্ঞমহলই ভালোভাবে অনুধাবন করবেন।
যারা হেফাজত নিয়ে তামাশা করেছিল তারা তাদের পাওনা বুঝে পেয়েছে। পাচ্ছে। বুঝে পাবে, ইনশাআল্লাহ! কারণ—হেফাজত নামক বৃক্ষের গোড়ায় পানি নয়; ঈমানদারের তাজা রক্ত ঢালা হয়েছে।
চল্লিশ বছর পর এদেশের মাটিতে যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে পারে, শাপলায় শহীদদের তাজা খুন বৃথা যাবে—তা ভাবলেন কি করে?
“হেফাজতের জানাযা হয়ে গেছে”, “কবর রচিত হয়েছে”, “হেফাজত এখন সরকারের পকেটে” —আচ্ছা, বলুন তো! হেফাজত কি কোনো জন্তুর নাম? যার কবর রচিত হবে!!
হেফাজত এদেশের চৌদ্দ কোটি তাওহীদী জনতার কনসেপ্টের নাম। তাওহীদী জনতার অন্তরের অন্তঃস্থলে ‘হেফাজত’ স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। ‘হেফাজত’ ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাআল্লাহ!
‘হেফাজত’ যদি আর কোনো কর্মসূচি না-ও দেয়, তা-ও ‘হেফাজত’ সার্থক ও সফল। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পর হাসিনা খালেদার নাম মুছে যাবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে—শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী ও সিপাহসালার আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী’র নাম। যারা বলছেন, “হেফাজত সরকারের পকেটে”। পকেট কেটে বের হওয়া, কবর থেকে পুনরায় জীবিত হওয়া—সময়ের ব্যাপার মাত্র। আগামী নির্বাচনের আগে ‘হেফাজত’কে মাঠে নামাতে চাইলেও ‘হেফাজত’ আর মাঠে নামবে না। হেফাজতকে ঘুমোতে দিন, সময় বলে দেবে—হেফাজত আবার কখন জাগবে!
❝মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়—
আড়ালে তার সূর্য হাসে❞
মুহাদ্দিস, দারুল উলূম হাটহাজারী