হিজাব নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যকারী আমোদিনি পালকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ০৯ ২০২২, ০৫:০২

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান নওগাঁ’র মহাদেবপুর স্কুলে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীকে পিটানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: নওগাঁয় হিজাব পরায় ছাত্রীদের পেটালেন হিন্দু শিক্ষিকা

আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মহাদেবপুর স্কুলে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীকে পিটানোর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে একজন সংখ্যালঘু সম্বপ্রদায়ের শিক্ষক কিভাবে এত বড় স্পর্দা দেয়া তা অবশ্যই ভাববার বিষয়। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের কর্ণাটকে যখন হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়, তার সূত্র ধরে এদেশে অনেক জায়গায় হিজাব নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। নেতৃদ্বয় বলেন, পর্দা বা হিজাব ইসলাম ধর্মের অত্যাবশ্যক পালনীয় একটি বিধান। প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের হিজাব পরা ফরজ। হিজাব হলো মুসলিম নারী তথা ইসলামী সংস্কৃতি। একজন মুসলিম ছাত্রীর অধিকার হিজাব পরা। সুতরাং একজন মুসলিম নারী হিজাব পরে ঘরের বাহিরে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম দেশে হিজাব পরার কারণে মহাদেবপুর স্কুলের শিক্ষিকা আমোদিনি পাল মুসলিম ছাত্রীদেরকে পিটিয়েছে এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে।

আরও পড়ুন:  এবার কি কেউ হিজাব পরে প্রতিবাদ করবেন, প্রশ্ন শায়খ আহমাদুল্লাহর

নেতৃদ্বয় বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষক আমোদিনি পাল ছাত্রীদের সাথে এমন আচরণ করার সাহস কোথায় থেকে পেলো তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে এ ধরণের ঘটনা কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। অবিলম্বে আমোদিনি পালকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে কেউ এধরণের ঘটনা ঘটানোর সাহসও না পায়। তারা আরও বলেন, ইসলাম ও মুসলমানদের সংস্কৃতি নিয়ে এধরণের তামাশা বন্ধ করতে হবে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে কোনো পক্ষ এধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা তা সরকারকে ক্ষতিয়ে দেখার উদাত্ত আহ্বান জানান।