স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীতে মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশের বাধা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ১৪ ২০২০, ১৫:১২

স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পদত্যাগ দাবি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) জিরো পয়েন্ট চত্বরের কাছে পুলিশের বাধার মুখে পরেন তারা। পরে সেখানেই তারা সমাবেশ করেন।

এর আগে ‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি লুটপাট বন্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অপসারণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লুটপাট সিন্ডিকেট হোতাদের গ্রেফতার এবং সকলের জন্য বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষাসহ কয়েকটি দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একত্রিত হন প্রগতিশীল সংগঠন সমূহের নেতা কর্মীরা। পরে তারা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যান।

সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, যেই মন্ত্রণালয় দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারে না, সেই মন্ত্রণালয় আমাদের শ্রমজীবী মানুষদের কি নিশ্চয়তা দেবে? বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার কাজে ব্যর্থ। এদিকে করোনা দুর্যোগের শুরুর দিকে সরকার বলেছিলো আপনারা ঘরে থাকবেন, আমরা খাবার পৌঁছে দেবো, স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, আমাদের ঘরে কোনো খাবার আসেনি। স্বাস্থ্যসেবাও আসেনি।

বক্তারা আরও বলেন, সাধারণ মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে চায়। কিন্তু এই সরকার করোনা পরীক্ষার জন্য টাকা নির্ধারণ করে দিলেন। যার ফলে দেশের সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারেনি। আর যারা টাকা দিয়ে করেছেন, তাদের পরীক্ষা না করে ফলাফল দেওয়া হয়েছে। আর এ সকল বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এমন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চাই না উল্লেখ্য করে তারা বলেন, এমন মন্ত্রণালয়ে চাইনা এমন মন্ত্রীও চাইনা। অবশ্যই বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর থেকে সাধারণ জনগণ করোনা টেস্টের জন্য কোনো টাকা দিবে না, সকল টেস্টের ব্যবস্থা সরকারকে বিনামূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দেখেছি, এই দুর্যোগে সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি সেক্টর কিভাবে দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে উঠেছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর,উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী,কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ হকার ইউনিয়ন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন।