স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবির ব্যবহার নেই: সংবাদ সম্মেলনে সি আই জি

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ২৫ ২০২০, ০৯:০৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর: বিভাগীয় শহর রংপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবির জলছাপ স্ট্যাম্প, ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ডেমী স্ট্যাম্পসহ সকল স্থানে সংযুক্ত করার জন্য, শনিবার রংপুর সিটি প্রেসক্লাবে সি আই জি সমবায় সমিতির আয়োজনে এক সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, সমিতির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মোফা।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি যিনি অমর, স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠাতা প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

যার নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতি আলোয় আলোকিত হয়ে আজ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব বাঙ্গালির আবেগ ও ভালবাসায় রয়েছে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান”। যার এক ডাকে মুক্তিকামী বাঙ্গালি ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে, একারণে আমরা আজ পেয়েছি কাঙ্খিত স্বাধীনতা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বিশ্বব্যাপী ও সকল বাঙ্গালি জাতির অন্তরে রয়ে গেলেও তার প্রতিচ্ছবি হিসেবে জমির দলিলের স্ট্যাম্প, ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ডেমী স্ট্যাম্পে (জলছাপ) অন্তর্ভূক্ত করা হয় নি।

লিখিত বক্তৃতায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ভাবতে অবাক লাগে স্বাধীনতার আজ ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতির জনকের প্রতিচ্ছবি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য আবেদন করতে হয়। এটা আমাদের জন্য অতীব দুঃখজনক।

ইতিপূর্বে ১৮/১১/১৯৪২, ২১/১১/১৯৪৪ এবং ১৫/০৫/১৯৪৮ইং সালের জমির দলিলের স্ট্যাম্পে সে সময়কার রাষ্ট্রনায়কের প্রতিচ্ছবি (জলছাপ) অন্তর্ভূক্ত ছিল।

এ কারণে আমরা মনে করি, মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল কাগজপত্রাদিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি (জলছাপ) ব্যবহারে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যান্ত জরুরী।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দরা, মুজিৰ শতবর্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি (জলছাপ) বাংলাদেশের জমির দলিলের স্ট্যাম্পে, ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ডেমী স্ট্যাম্পসহ সকল স্থানে সংযুক্ত করার জন্য আপনাদের লিখনির মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সি আই জি (ফসল)সমবায় সমিতির সভাপতি, মোফাজ্জল হোসেন মোফার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, শহিদুল ইসলাম খোকন, হাকিম হোসেনসহ সমিতির অন্যান্য সদস্য, নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।