সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ৬ লেনের জায়গা নির্ধারণ কাজ শুরু, হতাশায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ফেব্রুয়ারি ১৪ ২০২০, ০১:২৩

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ৬ লেন কাজের দোকান জরিপ কাজ শুরু করে মহাসড়কে অবস্থিত বাসা বাড়ি দোকানে লাল দাগ দিয়ে সড়কের জায়গা নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন মার্কেটে যাওয়ার জন্য দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে। তাছাড়া মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত মূল্যবান বাসা বাড়ি মার্কেট হারানোর ভয়ে ভবন মালিকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসকের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক স্থান গোয়ালাবাজার, তাজপুর বাজার, তাজপুর কদমতলা, দয়ামীর বাজার, কুরুয়া বাজার, ঊনিশমাইল বাজার বেগমপুর বাজার, শেরপুর বাজারসহ মহাসড়কে অবস্থিত হাটবাজারসমূহে দোকান ও বাসা বাড়িতে লাল দাগ দিয়ে বহুল প্রত্যাশিত এশিয়ান হাইওয়ে ৬ লেন সড়কের সীমানা চিহ্নিত করা হয়। তাছাড়া এর পূর্বে উপজেলার তাজপুরবাজার, তাজপুর কদমতলা, দয়ামীর বাজার ও গোয়ালাবাজারে ফ্লাইওভার করার জন্য সড়কের মাটি পরীক্ষা করা হয়। গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে একটি সংস্থার লোকজন উপজেলার গোয়ালাবাজার, তাজপুরবাজার, তাজপুর কদমতলায় দোকানপাট, বাসা বাড়ির সীমানায় লাল দাগ দিয়ে ভবন ও দোকান মালিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, দোকান কর্মচারীর সংখ্যার হিসাব, ব্যবসার মূলধন, মালিকের সাথে চুক্তির পরিমাণ ইত্যাদির তথ্য নেয় লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে বাজারসমূহের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবসা স্থানান্তর নিয়ে হতাশা দেখা দেয়।
এদিকে উপজেলার গোয়ালাবাজারে অসংখ্য ব্যাংক বীমা ও বেসরকারী এনজিওসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। বাজারে মহাসড়কের পাশের ভবনগুলো ভেঙ্গে দিলে একসাথে এতো প্রতিষ্ঠানের অফিস স্থানান্তর নিয়ে শংকা রয়েছে কর্মকর্তাদের মধ্যে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ মহাসড়কের আশপাশের চেনা জানা জমির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করছেন বাড়ি বানিয়ে অফিস ভাড়া দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে অনেক জমির মালিকও বিভিন্ন ব্যাংক বীমার অফিসে গিয়ে তাদের জমির অবস্থান জানিয়ে আগামিতে মার্কেট করে দিবেন বলে ভাড়া দেওয়ার জন্য মার্কেটিং করছেন।
তাজপুরবাজারে অবস্থিত বনফুল এন্ড কোং শোরুম এর ব্যবস্থাপক নাজমুল হোসেন জানান, আমাদের কোম্পানীর শোরুমের ভবন পুরোটাই ভাঙ্গা পড়বে। আশপাশে কোন ভবন নাই, যেখানে শোরুম স্থানান্তর করা যাবে। এ নিয়ে আজ আমাদের কোম্পানিতে মিটিং হয়েছে। নতুন স্থান না পাওয়া পর্যন্ত হয়তো শোরুম বন্ধ থাকবে।
উপজেলার গোয়ালাবাজারে জরিপ কাজ পরিচালনায় নিয়োজিত এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা একটি সংস্থার পক্ষ থেকে জরিপ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। কাজ শুরু হতে বছরখানেক সময় লাগবে।
এ ব্যাপারে সিলেট সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, মহাসড়কের কাজ এই মূহুর্তেই শুরু হচ্ছেনা, বছরখানেক সময়তো অবশ্যই আছে। তাই ব্যবসায়ীদের আতংক হওয়ার কারণ নেই।