সিলেটে বাম জোটের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ২২ ২০২০, ১৮:৪৬

সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষাসহ ৮ দফা দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাম জোটের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়।

বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে বাম জোটের মাসব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচীতে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় পুলিশ সমাবেশ থেকে ক্যামেরা, মোবাইল, সাউন্ড সিস্টেম, ব্যানার পুলিশ ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছেন বাম জোট নেতারা।

পরে বামজোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পুনরায় অবস্থান নেন এবং সমাবেশ চালিয়ে যান।

এসময় পুলিশ হামলা চালায়। এতে আহত হয়েছেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র সদস্য রেজাউর রহমান রানা, প্রসেনজিৎ রুদ্র, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নাবিল হোসেন, শ্রাবণ দাস, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টে সিলেট নগর শাখার কর্মী সাকিব রানা, দোয়েল রায়, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সংগঠক লাভলুসহ অন্তত ১০জন।

বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলার সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে ও বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পালের পরিচালনায় পুলিশী হামলা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক কমরেড আবু জাফর, সিপিবি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসনে সুমন, যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি নিরঞ্জন দাস খোকন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাস, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নাবিল হোসেন প্রমুখ।

এর পূর্বে বামজোটের নেতাকর্মীরা সিলেট রেজিষ্ঠারি মাঠে জমায়েত হয়ে মিছিল সহকারে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে সমাবেশে মিলিত হন।

বক্তারা বলেন, গত একমাস ধরে সিলেটের স্বাস্থ্যখাতের দূর্নীতি,অনিয়ম বন্ধসহ ৮দফা দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছিল। সিলেটের প্রত্যেকটি পয়েন্টে অনুষ্ঠিত পথসভায় নানাভাবে পুলিশ হয়রানি করেছে। এর ধারবাহিকতায় আজ জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে পুশিল অত্যন্ত নেক্কারজনক হামলা পরিচালনা করলো। অমরা মনে করি সিলেটের জেলা প্রশাসকের ইন্ধনেই পুলিশ এই হামলা পরিচালনা করেছে। দেশে আওয়ামী সরকার একটি ফ্যাসিবাদী শাসন পরিচালনা করছে, আর এই জনবিচ্ছিন্ন শাসন পরিচালনার জন্য আমলা নির্ভর ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। সিলেটের জেলা প্রশাসকের এই ভূমিকা তাই প্রমাণ করে। ৮দফা দাবিতে গত একমাস ধরে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেটের সাংবাধিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সবাই বামজোটের উত্থাপিত দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন। ফলে বামজোটের দাবির এই যৌক্তিকতা ও আন্দোলনকে দমন করতেই এই হামলার পরিচালনা করে।

বক্তারা আরো বলেন, আজকের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন। একই সাথে সিলেটে স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম, দূর্নীতিবদ্ধসহ বামজোটের উত্থাপিত ৮দফা দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলার আহবান জানান।