সিলেটে বন্যায় ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ০১ ২০২২, ১২:৫৭

সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ৪০ হাজারের বেশি কাঁচা বাড়িঘর আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর বাইরে জেলার ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাক ছাড়া জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বা অনুদান প্রদানের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার ৬১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন লোক আশ্রয় নেন। প্রত্যক্ষভাবে গ্রামীণ জনপদের ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবার বিভিন্নভাবে ঘরবাড়ি ভেঙে এবং ফসল নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

অতিবৃষ্টি আর উজানের ঢলে ১৫ জুন থেকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর ক্রমেই তা ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে নগর ও জেলার ১৩টি উপজেলা কমবেশি প্লাবিত হয়। বন্যায় জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। উচুঁ এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চল এখনো প্লাবিত।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, বর্তমানে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময়, সামনে শ্রাবণ মাস। এই সময়ের মধ্যে আরও দুই একটি বন্যা দেখা দেয়। এ জন্য পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে জুলাইয়ের শেষের দিকে একটি বন্যা হতেও পারে।

এরপরও ১০ দিন আগে আবহাওয়া পূর্বাভাস জানা যাবে। বর্তমানে ভারতের দিকে বৃষ্টি হলেও আগের তুলনায় কম বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে কিছু এলাকায় জলাবদ্ধ দেখা গেছে। নগরের মির্জাজাঙ্গাল, তালতলা, যতরপুর, শাহজালাল উপশহর এলাকায় পানি জমতে দেখা গেছে।

এছাড়া সিলেট সদর, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে বানভাসি মানুষেরা জানিয়েছেন।